Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাটিরাঙ্গায় স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মাটিরাঙ্গা উপজেলা সংবাদদাতা : পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় মো. এনামুল হক (৫০) ও মোছা. পারভীন আকতার (৩৫) নামে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার বিকালের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মরা তাইফা এলাকার মকবুল-এর লেকের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ হত্যাকান্ড কে বা কারা সংগঠিত করেছে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে না পারলেও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারনা করছে নিহতদের আত্মীয়-স্বজন। এদিকে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার খবর পেয়ে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা মরা তাইফা এলাকার মকবুল এর লেকের পাড়ে।
নিহত মো. এনামুল হকের ছেলে মো. সালাউদ্দিন (১০) এ প্রতিনিধিকে জানায়, মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে তার মা-বাবা তাদের বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দুরে মরা তাইফায় তাদের ইজারা নেয়া লেকে মাছ ধরতে ও লাকড়ি আনতে যান। সন্ধ্যার মধ্যে তাদের ফিরে আসার কথা থাকলেও সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও তারা ফিরে আসেনি জানিয়ে সে বলে তখন ছোট দুই ভাইকে নিয়ে না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়ে সে। বুধবার (২৯ জুন) সকালে ঘুম ভেঙ্গেও মা-বাবাকে দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশী এক সহপাঠীকে নিয়ে লেকের পাড়ে গিয়ে মা-বাবার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে সে ফিরে এসে বিষয়টি স্থানীয়দের জানায়।
নিহত এনামুল হক ও পারভীন আকতারের চার ছেলের মধ্যে বড় ছেলে চট্টগ্রামের একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকের কাজ করলেও ছোট তিন ছেলে মা-বাবার সাথেই থাকতো। মা-বাবাকে হারিয়ে একেবারেই নির্বাক তিন শিশুপুত্র। তারা কোথায় যাবে কার কাছে আশ্রয় হবে তাদের কিছুই জানেনা এ তিন শিশু। নিঃশব্দ কান্নার সাগরে ভাসছে তারা।
ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দুরে পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাহাদাত হোসেন টিটো সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল যান। এর পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী ও সহকারী পুলিশ সুপার (রামগড় সার্কেল) কাজী মো. হুমায়ুন রশীদ । পরে সেখান থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ।
এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে না পারলেও মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, হত্যাকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া লাশ ময়না তদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ