Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তীব্র শীতেও বসে নেই কুমিল্লার চাষিরা

কামাল আতাতুর্ক মিসেল, ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

পৌষের তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা, শৈত্যপ্রবাহের ধকল, মূল্য প্রপ্তির শঙ্কার মধ্যেও কুমিল্লায় থেমে নেই চাষবাদ। কৃষি উৎপাদনে অগ্রসর কুমিল্লার ১৭ উপজেলার জীবন সংগ্রামী চাষিরা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের জীবন জীবিকা কৃষি উন্নয়নের সংগ্রাম। আমন ধান কাটা মাড়াইয়ের পরপরই তারা শুরু করেছে বোরোর আবাদের কার্যক্রম।
কুমিল্লা কৃষি অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে কুমিল্লার ১৭ উপজেলায় ১ লাখ ৬০ হাজার একরে ৬ লাখ মেট্রিকটন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরই মধ্যে বোরো বীজতলা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে।
কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক সুরজিত চন্দ্র দত্ত জানান, জেলায় ১৭ উপজেলায় ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৫৭ হাজার ২৫৮ মেট্রিকটন। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ হাজার ৫৬২ হেক্টর এবং চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ২০০ মেট্রিকটন। উচ্চ ফলনশীল জাতের বোরো আবাদের জমির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৪৯ হেক্টর ও চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৮ মেট্রিকটন। তিনি আরও জানান, জেলার উপজেলা ভিত্তিক বোরো আবাদের জমি ও চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে, চান্দিনায় বোরো আবাদের জমি ৯ হাজার ৮৫৫ হেক্টর ও চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৯ হাজার ৩৩৫ মেট্রিকটন। দেবিদ্বারে জমির পরিমাণ ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর ও চাল উৎপাদন ৪৯ হাজার ৪৫ মেট্রিকটন।
মুরাদনগরে জমি ১৭ হাজার ৮১৩ হেক্টর ও চাল উৎপাদন ৭০ হাজার ৮০৫ মেট্রিকটন। দাউদকান্দিতে জমি ৭ হাজার ৮৫৫ হেক্টর ও চাল উৎপাদন ৩১ হাজার ১৪৫ মেট্রিকটন। হোমনায় জমি ৫ হাজার ৮৩৭ হেক্টর ও চাল উৎপাদন ২৩ হাজার ২৮ মেট্রিকটন। আদর্শ সদরে জমি ৫ হাজার ৯০০ হেক্টর ও চাল উৎপাদন ২৩ হাজার ৪৩০ মেট্রিকটন। বুড়িচংয়ে জমি ৯ হাজার ২৯০ হেক্টর ও চাল উৎপাদন ৩৭ হাজার ২২০ মেট্রিকটন। ব্রাহ্মণপাড়ায় জমি ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর এবং চাল উৎপাদন ৩৪ হাজার ৮৫০ মেট্রিকটন। চৌদ্দগ্রামে জমি ১২ হাজার ৪০০ হেক্টর ও চাল উৎপাদন ৪৯ হাজার ২৮০ মেট্রিকটন। লাকসামে জমি ৮ হাজার ৭০০ হেক্টর ও চাল উৎপাদন ১৩ হাজার ৮২০ মেট্রিকটন। নাঙ্গলকোটে জমির পরিমাণ ১২ হাজার ৬৫০ হেক্টর ও চাল উৎপাদন ৫৪ হাজার ২১০ মেট্রিকটন। বরুড়ায় জমি ১৪ হাজার ৬০ হেক্টর ও চাল উৎপাদন ৫৭ হাজার ২৮০ মেট্রিকটন। মেঘনায় জমি ৩ হাজার ৫৮০ হেক্টর এবং চাল উৎপাদন ১৪ হাজার ১শ’ মেট্রিকটন। তিতাসে জমি ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর ও চাল উৎপাদন ২৬ হাজার ৪৬০ মেট্রিকটন। মনোহরগঞ্জে জমি ১০ হাজার ২০০ হেক্টর ও চাল উৎপাদন ৪৬ হাজার ১৪০ মেট্রিকটন। সদর দক্ষিণে জমির পরিমাণ ১৪ হাজার ৮৭০ হেক্টর ও চাল উৎপাদন ৬২ হাজার ১৬০ মেট্রিকটন।
কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের সুরজিত চন্দ্র দত্ত বলেন, বোরো আবাদের উৎপাদন বাড়ানো আমাদের লক্ষ্য। বর্তমান সরকার বোরো আবাদের প্রণোদনা হিসেবে বিজ ও সার বিনামূল্যে কৃষকদের দিচ্ছে। আগামী বোরো আবাদ মৌসুমে আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকলে উৎপাদনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এ লক্ষে কৃষি বিভাগও কৃষকদের পাশে থাকবে।
কৃষকরা জানান, আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুক‚ল রয়েছে। তবে বাজার সিন্ডিকেটের কবল থেকে কৃষি খাতকে রক্ষা করে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করলে কৃষিকে অবলম্বন করে দেশ স্বনির্ভর হয়ে উঠবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ