রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চলতি পৌষ মাসের হাড় কাঁপনো শীত চরম ভুগিছে মানুষকে। সাথে সাথে পশু-পাখিও আছে বিপাকে। আর খেতের ফসল নিয়ে দিশেহারা কৃষক। গত কয়েক দিনের প্রচন্ড শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশায় বীজতলার ধানের চারা মরে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে মো. আবু শহীদ জানান, কদিন পরেই বোরো মৌসুম শুরু, কৃষক বোরো মৌসুমের জন্য আমন ধান ঘরে তোলার পরেই বীজতলায় বীজ ফেলেছেন কিন্তু ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বীজতলা ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে। এতে বোরো আবাদ নিয়ে উপজেলার কৃষকরা বেশ শঙ্কিত হলেও কৃষি বিভাগ থেকে বলা হচ্ছে শঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।
কৃষকরা জানান, চারা গাছ একটু বড় হতে না হতেই ঘন কুয়াশা ও বৃষ্টির কবলে পড়ে বোরো বীজতলা। হালকা বৃষ্টি, টানা কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বোরো বীজতলার চারাগুলো ফ্যাকাসে রং ধারণ করেছে। এতে উপজেলার কৃষকদের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা। তবে উপজেলার কৃষি বিভাগ বলছে, ঘন কুয়াশার কারনে এমনটি হচ্ছে, তবে কৃষকদের হতাশ হবার কোন কারণ নেই। প্রচন্ড শীতের কারণে বীজতলার রং পরিবর্তন হলেও বড় ধরনৈর ক্ষতি যেনো না হয় সে ব্যাপারে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের মেলাবাড়ী গ্রামের কৃষক খতিব উদ্দিন বলেন, বোরো ধান রোপন করতে উন্নত জাতের বীজ দিয়ে বীজতলা তৈরি করেছেন তিনি। চারাগাছগুলো বেশ পুষ্ট হলেও ঘন কুয়াশা, বৃষ্টি ও বাতাসে বীজতলা ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে। অনেক চারাগাছ মরার মতো হয়ে গেছে। ফলে তার জমির জন্য চারার সংকট দেখা দিতে পারে একই ইউনিয়নের গোকুল সেনরা গ্রামের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন, ইয়াকুব আলী, মো. ইসলাম ও জামিল উদ্দিন বলেন, বোরো চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করেছেন তারা। কিন্ত প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে তাদের সেই বীজতলা প্রায় নষ্ট হতে বসেছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই সূর্যের দেখা মিলছে না যে কারণে বীজতলা রক্ষায় বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্তু বীজতলা রক্ষা করতে না পারলে চারাগাছের অভাবে বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হতে পারে এমন আশংকা উপজেলার প্রায় কৃষকদের। তবে কৃষকদের খোঁজখবর নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-মাঠকর্মীরা বেশ তৎপর বলে জানান অনেক কৃষক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এটিএম হামিম আশরাফ বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বীজতলায় কিছুটা সমস্যা দেখা দিলেও বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। শীত বা কুয়াশা থেকে বীজতলা রক্ষায় রাতের বেলা পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখাসহ সকালে বীজতলায় সেচ দিয়ে চারাগাছের পাতা ও ডগা থেকে কুয়াশার ঠাÐা পানি ফেলে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে কৃষকদের।
চাটমোহর (পাবনা) থেকে মো. আফতাব হোসেন জানান, কয়েক দিনের তীব্র শীতে পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চলতি মৌসুমে ধান রোপনের জন্য প্রস্তুুতকৃত বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে প্রচুর ইরি ধানের আবাদ হয়ে থাকে। যার জন্য কৃষকরা ধান রোপনের জন্য বীজতলা তৈরি করে। কিন্তু গত কয়েক দিনের প্রচন্ড শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশার কারণে বীজ তলার ধানের চারা মরে যাচ্ছে। ফলে কৃষকরা এ মৌসুমে ধানের চারা সংকটে পড়বে বলে কৃষকরা জানান। উপজেলার মূলগ্রাম, ডিবিগ্রাম, হরিপুর, মথুরাপুর, ফৈলজানা, পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়ন এবং শস্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিলের বিভিন্ন স্থানে একই রুপে ধানের চারা মারা যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে কৃষকরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানা যায়। এদিকে এই শীতে বিভিন্ন মৌসুমি সবজিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।