Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আত্মহত্যা প্রবণতা বাড়ছে পাবনায়

পাবনা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

পাবনায় আত্মহত্যা প্রবণ এলাকা চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরে দ্বিতীয় অবস্থানে সাঁথিয়া উপজেলা। সাঁথিয়া উপজেলায় ১০ দিনের ব্যবধানে ৫ জন আত্মহনন করেছে। পারিবারিক কলহ, সংসারে টানপোড়েন নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া, শ্বশুর, শ্বাশুড়ী, দেবর, ননদের সাথে গৃহবধূর বিবাদ, দীর্ঘদিনের পেটের পীড়া, প্রেমে ব্যর্থ এগুলোকে আত্মহত্যার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে। অনেকে দীর্ঘদিন বহন করছেন আত্মহত্যা নামের সিজোফেনিয়া মানসিক রোগ।
গত ৭ জানুয়ারি সকালে উপজেলার ভুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের সবুর শেখের স্ত্রী ২ সন্তানের জননী শাপলা (২২) গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ৪ জানুয়ারি দুপুরের দিকে সাঁথিয়া উপজেলাধীন আর-আতাইকুলা ইউনিয়নের মাধপুর নতুন পাড়া গ্রামের তোতা মিয়ার পুত্র সুমন (২০) গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। ৩০ ডিসেম্বর বিকালে ভুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের চর ভুলবাড়ীয়া গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের কন্যা মিম ওরফে ইমা (১৪) গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। মিম মাধপুর শেখ হাসিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তবে মিমের মৃত্যু নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন চলছে, এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে চলছে আলোচনা।
পাবনা মানসিক হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক ডা. নিখিল কুমারের মতে, আত্মহত্যা সিজোফেনিয়া একটি নিরব ব্যধি। কেউ আত্মহত্যা করবে, এ জীবন রাখবো না এই রকম বাক্য বললে পরিবার-পরিজন অবশ্যই তাঁকে দৃষ্টি সীমার মধ্যে রাখবেন। এই রোগ মাত্রাঅতিক্রম করলে অর্থাৎ বারংবার কেউ এ আত্মহত্যার কথা উচ্চারণ করলে কাল বিলম্ব না করে তাঁকে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ-এর কাছে নিয়ে আসতে হবে। সাইকোলজিক্যাল চিকিৎসায় এই রোগ নিরাময় করা যায়।
পাবনা মানসিক হাসপাতালের সাবেক আরএমও (অব:) ডা. আব্দুল্লাহ রুমি জানান, সিজোফেনিয়া রোগ যে ধরণেরর হোক একে অবহেলা করা যাবে না। জটিল আকার ধারণ করার আগেই চিকিৎসা নিলে রোগী ভালো হয়ে যায়। ঐ দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাঁদের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, সিজোফেনিয়া রোগ হলে গ্রামীন মানুষ কবিরাজের কাছে যায়, কোনো কোনো কবিরাজ শলা ঝাড়– দিয়ে ঝাড় ফুঁক করেন। কিছু ওষুধ দেন উপরি দৃষ্টির কথা বলে রোগীকে চিকিৎসা দিতে থাকেন। এতে অনেক সময় পেরিয়ে যায়। অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা সেবা না নিয়ে রোগীকে দ্রæত মানসিক হাসপাতাল অথবা নিকটবর্তী কোনো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মানসিক রোগ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ