পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামীতে বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে মুসলমানরা। বাংলাদেশের ৯৬ শতাংশ তরুণ-তরুণী ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। নাস্তিকরা মুসলমানদের মৌলবাদী বলে তিরস্কার করছে। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে ইসলামী চিন্তা চেতনার প্রসার ঘটছে। বাতিল শক্তিদের কোনো ষড়যন্ত্র ইসলামের অগ্রযাত্রাকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। পীর-মাশায়েখ অধ্যাত্মিক ব্যক্তিদের দোয়া ও মেহনতের মাধ্যমেই এদেশে ইসলাম এসেছে।
গতকাল শুক্রবার বাদ মাগরিব ডেমরার ঐতিহ্যবাহী দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসায় খতমে বুখারী উপলক্ষে ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন এসব কথা বলেন। তিনি খতমে বুখারী স্মারকের মোড়ক উন্মোচন করেন।
মদিনাতুল উলূম মডেল (বালক) কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজী, দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল আ.খ.ম আবুবকর সিদ্দীক, মহাখালী দারুল উলূম হোসাইনিয়া কামিল মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিস মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিস মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ শেখ প্রমুখ।
আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার সাফল্য সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ দেশের সকল মহলই অবগত। ছারছীনা দরবার শরীফের মরহুম পীর ছাহেবগণের দোয়া ও নেকনজরের বরকতে দারুননাজাত মাদরাসা শিক্ষা বিস্তারে বিরাট অবদান রাখছে। উক্ত মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুবকর সিদ্দীকের যোগ্যতা ও দূরদর্শী চিন্তা এবং শিক্ষক অভিভাবকদের মেহনতে মাদরাসার সুনাম গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নেককার, যোগ্য ও আলোকিত মানুষ তৈরি হচ্ছে। কোয়ালিটির দিক দিয়ে এটি একটি শ্রেষ্ঠ মাদরাসা। মাদরাসা শিক্ষার দিকে মানুষ দিন দিন বেশি ঝুঁকছে। তিনি বলেন, অনেক মাদরাসার শিক্ষক এমপিওভুক্ত না হয়েও কষ্ট করে মাদরাসা শিক্ষা বিস্তারে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন। এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, দেশের মাদরাসাগুলো আলোকিত মানুষ তৈরি করছে বলেই সমাজ দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মাদরাসা শিক্ষায় ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ নিহিত রয়েছে। আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে আরো বেশি বেশি পৃষ্ঠপোষকতা করে ইসলামি শিক্ষার ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে মুসলিম জনসংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় একশ’ কোটিতে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সুন্নী হকপন্থী, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও সুন্নী হকপন্থী। পশ্চিমা বিশ্ব মুসলমানদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে অশান্তি তৈরি করছে। ইসলাম ও মুসলমানদের দাবিয়ে রাখার কোনো অপচেষ্টাই সফল হবে না।
মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজী বলেন, এক শ্রেণির আলেম সমাজে ইসলামের নামে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে দারুননাজাতের প্রত্যেক ছাত্রকে যোগ্য হয়ে সমাজে ছড়িয়ে পড়তে হবে। তিনি বলেন, ইসলামী শিক্ষাকে টিকিয়ে রাখতে দারুননাজাতের মতো আরো বেশি বেশি মাদরাসা গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, সারাদেশে ৭০ লাখ ছাত্র-ছাত্রী মাদরাসা শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত। মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে সরকার অনেক উদ্যোগ নিচ্ছে। তিনি মাদরাসা শিক্ষাকে আরো এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।