Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

যে কারণে সড়কে চলা দায়

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন পাঁকা সড়ক যেন মরণ ফাঁদ হয়ে পড়েছে। অল্প বৃষ্টিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে এসব পাঁকা সড়কগুলো। ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় নেয়ার সময় সড়কগুলোতে মাটি পড়ে অসময়ের বৃষ্টিতে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে পড়ছে। পিচ্ছিল হওয়ার ফলে সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারছে না যানবাহন। প্রতি মুহূর্তে ঘটছে নানা রকমের দুর্ঘটনা। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না থাকায় এ সকল ইটভাটার মালিকরা কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না।
সরেজমিনে জানা যায়, এ সড়কের মধ্যে রয়েছে হাসামদিয়া গ্রামে অবস্থিত মেসার্স জুয়েল ব্রিকসের ইটভাটা। এ ইটভাটা থেকে মাটি নেয়ায় ময়েনদিয়া থেকে রুপাপাত, নিধিপুর থেকে ময়েনদিয়া পাকা সড়ক, বাবুর বাজার রাজ ব্রিক্সের ও কলারণ জেকেএ ইটভাটার মাটিতে ময়েনদিয়া থেকে বোয়ালমারী সড়ক, ঠাকুরপুর অবস্থিত রাজ ব্রিক্সÑ২ ইটভাটায় মাটি নেয়ার ফলে ঠাকুর থেকে সাতৈর পাঁকা সড়ক এবং ভাটার আশেপাশের সড়কগুলো পিচ্ছিল হয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগি একাধিক পথচারীরা বলেন, ইটভাটায় মাটি নেয়ার সময় সড়কে মাটি পড়ে। অসময়ের বৃষ্টিতে মাটির কাঁদা পানির সৃষ্টি হওয়ায় সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পথচারীদের নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসন যদি নজর দিত তা হলে সড়কের এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না।
সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের নটখোলা গ্রামের মোটরসাইকেল চালক রাসেল আহমেদ বলেন, সড়কে কাঁদা থাকার কারণে আমি সড়ক দুঘর্টনায় কবলিত হয়েছি। গাড়ি চালানো যায় না। শেখর ইউনিয়নের তেলজুড়ী গ্রামের মোটরসাইকেল চালক সোহান মোল্যা ও ছোলনা গ্রামের বিলায়েট শেখ বলেন, ইটভাটায় মাটি নেয়ার সময় ট্রলি থেকে থেকে যে মাটি সড়কে পড়েছিল। অসময়ের বৃষ্টিতে সেই মাটিতে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝোটন চন্দ বলেন, যে সকল ইটভাটার কারণে পাকা সড়কগুলোতে কাদা পানি সৃষ্টি হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ