Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এবার ফৌজদারি মামলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০৩ এএম

এবার ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে নোবেল বিজয়ী একমাত্র বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে। মামলাটি দায়ের করা হয়েছে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে। ‘গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স’র চেয়ারম্যান হিসেবে গত ৫ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে তার বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। মামলার বাদী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) মো. তরিকুল ইসলাম। মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও ৩ জনকে বিবাদী করা হয়।

তারা হলেন, গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা, পরিচালক আ. হাই খান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (জিএম) গৌরি শংকর। আগামি ১২ জানুয়ারি রোববার মামলার বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে বলে জানা গেছে। মামলার আবেদন থেকে জানাযায়, বাদী মো. তরিকুল ইসলাম ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সে সরেজমিনে পরিদর্শনে যান। এ প্রতিষ্ঠানটির দ্বারা ১০টি বিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি তার দৃষ্টিগোচর হয়। এর আগেও গত ৩০ এপ্রিল বাদীপক্ষের এক পরিদর্শক প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করে ত্রæটিগুলো সংশোধনের নির্দেশনা দেন। এরপর ৭ মে ডাকযোগে এ বিষয়ে বিবাদী পক্ষ জবাব দিলেও তা সন্তোষজনক হয়নি। পরে ২৮ অক্টোবর বর্তমান পরিদর্শক আবারও তা অবহিত করেন। নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করে বিবাদীরা ফের সময়ের আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনের সময় অনুযায়ী তারা জবাব দাখিল করেননি। এতে প্রতীয়মান হয় যে, বিবাদীরা শ্রম আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন। এ পরিস্থিতিতে বিবাদীরা বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৩ ধারা ৩৩ (ঙ) এবং ৩০৭ মোতাবেক দন্ডনীয় অপরাধ বলে বাদী মনে করেন।
‘গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স’র বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয় :

মামলার বাদী তার প্রতিবেদনে দাবি করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠানটি শ্রম আইনের ১০টি ধারা লঙ্ঘন করেছেন। তিনি বলেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর গত ১০/১০/২০১৯ ইং তারিখে সরেজমিনে পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধন) আইন ২০১৩ ও বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ এর নিম্নোক্ত ১০টি লঙ্ঘন পরিলক্ষিত হয়। (১) বিধি মোতাবেক শ্রমিক/কর্মচারিদের নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বহি প্রদান করা হয়নি। (২) বিধি অনুসারে শ্রমিকের কাজের সময় এর নোটিস পরিদর্শকের কাছ থেকে অনুমোদিত নয়। (৩) কোম্পানিটি বার্ষিক ও অর্ধবার্ষিক রিটার্ন দাখিল করেনি। (৪) কর্মীদের বৎসরান্তে অর্জিত ছুটির অর্ধেক নগদায়ন করা হয় না। (৫) কোম্পানির নিয়োগ গবিধি মহাপরিদর্শক কর্তৃক অনুমোদিত নয়। (৬) ক্ষতিপূরণমূলক সাপ্তাহিক ছুটি ও উৎসব ছুটি প্রদান-সংক্রান্ত কোনো রেকর্ড/রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করা হয় না। (৭) কোম্পানির মুনাফার অংশ ৫% শ্রমিকের অংশগ্রহণ তহবিল গঠনসহ লভ্যাংশ বণ্টন করা হয় না। (৮) সেফটি কমিটি গঠন করা হয়নি। (৯) কর্মীদের অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করালেও কোনো ঠিকাদারি লাইসেন্স গ্রহণ করেননি এবং (১০) কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর থেকে লাইসেন্স নেননি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ড. ইউনূস


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ