বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পুত্রবধূর সঙ্গে শ্বশুরের পরকীয়ার জেরে নির্মম হত্যার শিকার হয়েছেন হাবিবুল্লাহ (২৫) নামে এক যুবক। নিজের বাবা ও স্ত্রীর পরিকল্পনায় হত্যাকাÐের শিকার হন হাবিবুল্লাহ।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের মুলবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত হাবিবুল্লাহর স্ত্রী ছবুরা বেগমকে (২৩) গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। গত রোববার টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ছবুরা। জবানবন্দিতে শ্বশুরের সঙ্গে পরকীয়া এবং পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি। পুত্রবধূর জবানবন্দির ভিত্তিতে সোমবার ঘটনায় জড়িত শ্বশুর আবু জাফর স্বপনকে (৫২) গ্রেফতার করে পুলিশ। আবু জাফর স্বপন নিহত হাবিবুল্লাহর বাবা।
আদালতে দেয়া হাবিবুল্লাহর স্ত্রী ছবুরার জবানবন্দির উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, আবু জাফর স্বপনের বাড়ি ঘাটাইল উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের মুলবাড়ি গ্রামে। তার ছেলে হাবিবুল্লাহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। আট মাস আগে কালিহাতী উপজেলার বেলটিয়া গ্রামের মকবুল হোসেনের মেয়ে ছবুরাকে বিয়ে করেন হাবিবুল্লাহ। বিয়ের কিছু দিন পর শ্বশুর আবু জাফরের সঙ্গে পুত্রবধূ ছবুরার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নানা কৌশলে ছেলে হাবিবুল্লাহকে বাড়ির পাশে বাজারের দোকানে রাত যাপনের জন্য পাঠিয়ে দিতেন বাবা আবু জাফর। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয় ছেলে হাবিবুল্লাহর। এরই মধ্যে একদিন বাবার সঙ্গে স্ত্রীর মেলামেশার দৃশ্য দেখে ফেলেন হাবিবুল্লাহ। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে স্ত্রী ও বাবার সঙ্গে তার মনোমালিন্য হয়। এরপরও শ্বশুর ও পুত্রবধূর অনৈতিক সম্পর্ক চলে। এতে ক্ষিপ্ত হয় হাবিবুল্লাহ। এ অবস্থায় ছেলে হাবিবুল্লাহকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আবু জাফর। তার পরিকল্পনায় সায় দেন পুত্রবধূ ছবুরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৬ ডিসেম্বর ভাড়াটে খুনিদের কাছে হাবিবুল্লাহকে তুলে দেয়া হয়।
সেই রাত থেকে নিখোঁজ হন হাবিবুল্লাহ। নিখোঁজের চারদিন পর ৩০ ডিসেম্বর ঘাটাইল উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের বগা গ্রামের আব্দুল লতিফের বাড়ির পাশে এক চোখ উপড়ে ফেলা অবস্থায় হাবিবুল্লাহর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর নিহতের বাবা আবু জাফর স্বপন নিজেই বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে ওই দিনই ঘাটাইল থানায় হত্যা মামলা করেন।
ঘাটাইল থানার ওসি মাকসুদুল আলম বলেন, শ্বশুর ও পুত্রবধূর পরকীয়ার কারণে হাবিবুল্লাহ খুন হয়েছেন। হাবিবুল্লাহর স্ত্রী ছবুরা এ ঘটনায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। শ্বশুর আবু জাফরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দ্রæততম সময়ের মধ্যে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।