Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টিকে হত্যাচেষ্টায় গ্রেফতার ২

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ড. সারওয়ার আলীকে (৭৪) হত্যার চেষ্টার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের বাসায় ঢুকে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। পরে বাড়ির দারোয়ন মো. হাসান (৫৭) ও ড্রাইভার মো. হাফিজুল ইসলামকে (৩০) গ্রেফতার করে পুলিশ।

জানা গেছে, গত রবিবার রাত ১০টা ২০ মিনিটের সময় দুইজন দুর্বৃত্ত উওরা ৭ নাম্বার সেক্টরে ড. সারোয়ার আলীর বাড়িতে প্রবেশ করেন। তারা প্রথমে ওই বাড়ির তৃতীয় তলায় যায়, সেখানে তার মেয়ে ড. সায়মা আলীর (৪৯) বাসার মূল দরজায় কড়া নাড়তে থাকে। দরজা খুলে দেয়া হলে দুর্বৃত্তরা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে গিয়ে সারওয়ার আলীর মেয়ের গলার ওপর ছুরি ধরে। মেয়ের জামাই মো. হুমায়ুন কবির (৫২) ও নাতনি অহনা কবির (১২) পাশের রুম থেকে আসলে তাদেরকেও গলার ওপর ছুরি ধরে হত্যার চেষ্টা চালায়। এরপর বাড়ির চতুর্থ তলায় গিয়ে ড. সারোয়ার আলী ও তার স্ত্রী ড. মাখদুমা নার্গিসকে (৭৪) হত্যা চেষ্টা করে দৃর্বৃত্তরা। এ সময় ড. সারওয়ার আলীকে বাঁচাতে চিৎকার চেচামেচি করতে থাকেন তার স্ত্রী। চিৎকার শুনে আশেপাশের ভাড়াটিয়ারা এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ সময় ড. সারোয়ার আলীর মেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ৯৯৯-এ ফোন দিলে সংবাদ দেন। পরে সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।

উওরা পশ্চিম থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্বৃত্তের ফেলে যাওয়া একটি মোবাইল ফোন এবং বাসার নিচতলায় গ্যারেজ থেকে একটি ব্যাগে থাকা সাতটি স্টিলের চাপাতি, একটি মুঠোফোন, একটি প্রেসার মাপার যন্ত্র, একটি আইপ্যাড, লাইলনের দড়িসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করে। এছাড়াও এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, প্রথমে জঙ্গিরা হামলা করেছে চলে জানা গেলেও পরে বিষয়টি পারিবারিক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সাবেক গাড়ি চালক নাজমুলের নেতৃত্বেই এই হামলার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে যে মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়েছে সেটি নাজমুলের বলে জানান ওসি।

তিনি জানান, নাজমুলের সঙ্গে বাড়ির দারোয়ান হাসানের দফায় দফায় কথা হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও গ্রেফতার হওয়া হাফিসের সাথেও নাজমুলের কয়েকবার কথা হয়েছে। ঘটনার দিন তারা একে অপরের সাথে কয়েকবার কথা বলেছে। নাজমুলকে গ্রেফতারে অভিযান চালছে জানিয়ে ওসি বলেন, হাসান ও হাফিজকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নাজমুল গ্রেফতার হলে ঘটনার আসল তথ্য জানা যাবে জানিয়ে ওসি বলেন, ড. সারোয়ার সাহেবের জামাতা নাজমুলকে চিনতে পেরেছেন। খুব শিগগই তাকে গ্রেফতার করা হবে। অপর দিকে মামলাটি তদন্ত চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, তদন্ত শেষ হলে কারা হামলা করেছে তা জানা যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুক্তিযুদ্ধ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ