পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরামর্শক (কাউন্সিলর) এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট (মনোবিদ) কেন নিয়োগ দেয়া হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)র চেয়ারম্যান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের আগামি চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট (মনোবিদ) নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। সুপ্রিমকোর্ট বারের অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূইয়া বাদী হয়ে এ রিট করেন। রিটে বলা হয়, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের নিষ্ক্রিয়তা বাংলাদেশ সংবিধানের ১৭ (ক ও খ), ১৮ (১ ও ২) ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। দেশের প্রতিটি নাগরিকের উপযুক্ত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এগুলো নিশ্চিতের বিষয়ে রাষ্ট্র কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কিন্তু ক্রমাগত তথ্য-প্রযুক্তির ব্যাপ্তির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকাসক্তি, যৌন হয়রানি ও আত্মহত্যা চেষ্টা, হত্যাসহ নানারকম নৈতিক অবক্ষয়, বেপরোয়া জীবনযাপন, ব্যক্তিত্বের সংকট, পড়াশোনায় অমনযোগিতা, অস্থিরতা ও উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনের ঘটনা ঘটছে। স¤প্রতি এ বিষয়গুলো আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এসব বিষয় ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও উঠে এসেছে, যার কারণে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি অনিশ্চিত পরিণতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
রিটে আরো উল্লেখ করা হয়, সংবিধানের ১৫ (ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে একটি পরিকল্পিত অর্থনৈতিক ও কর্মক্ষম জনশক্তি গড়ে তোলা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ও মৌলিক দায়িত্ব। সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুসারে, প্রত্যেক নাগরিকের সুস্বাস্থ্য ও মানসম্পন্নভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে। অথচ সেই অধিকার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। এর ফলে বিভিন্ন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সমাজে মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর (পরামর্শক) ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফরহাদউদ্দিন আহমেদ ভুইয়া। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি এটর্নিজেনারেল অমিত তালুকদার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।