পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। কিন্তু যাদের ভোট সেই স্টেক হোল্ডারদের (ঢাকার দুই সিটির ভোটার) মধ্যে ভোট নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই। এমনকি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রেও আগের মতো আগ্রহ নেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের। স্থানীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা এবার বিদ্রোহী প্রার্থী হলেও অন্যান্য দলের নেতারা প্রার্থী হতে উৎসাহী হচ্ছেন না। ২০১৫ সালের নির্বাচনের চেয়ে এবার দুই সিটিতে ৩৬টি ওয়ার্ড বেড়েছে। অথচ মেয়র প্রার্থীর মতো কমিশনার প্রার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। আর ইভিএমে ভোট গ্রহণের ইসির জেদ নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের আগ্রহে ভাটার টান পড়েছে।
২০১৫ সালের ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড সংখ্যা ছিল ৩৬টি। এবার ১৮টি নতুন ওয়ার্ড বেড়ে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪। ঢাকা দক্ষিণের আগে ওয়ার্ড সংখ্যা ছিল ৫৭টি। এবার নতুন ১৮টি ওয়ার্ড যোগ হয়ে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৫। এই অনুপাতে ৩ ওয়ার্ড মিলে একটি সংরক্ষিত আসন হওয়ায় সংরিক্ষত আসনের সংখ্যাও বিগত সময়ের চেয়ে এবার বেশি। কিন্তু এবার প্রার্থীর সংখ্যা বাড়েনি বরং কমেছে। এবার ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে ৬ জন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। অথচ ৫ বছর আগে ২০১৫ সালের নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১৬ জন। ঢাকা দক্ষিণে এবার মেয়র প্রার্থী ৭ জন। অথচ ৫ বছর আগে নির্বাচনে ২০ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছেন। কমিশনার ও সংরক্ষিত আসনে প্রার্থীও বিগত নির্বাচনের চেয়ে এবার সংখ্যায় কম। বিগত নির্বাচনে দুই সিটিতে কমিশনার এবং সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন ১৬শ’ জন। ৩৬টি নতুন ওয়ার্ড এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড বেড়ে যাওয়ায় এবার প্রার্থীর সংখ্যা ২ হাজারের অধিক হওয়ার কথা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়নি) প্রার্থী সংখ্যা এক হাজারের কম।
জানতে চাইলে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের কারণে ভোটারদের আশঙ্কা আছে যে তারা ভোট দিতে পারবেন কি না। কারণ ভোটারদের ইচ্ছার উপরে ভোট দেয়া এখন আর নির্ভর করে না। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঠিক ভ‚মিকা এবং নির্বাচনে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছার ওপর ভোটারদের স্বাধীনভাবে ভোট দেয়ার বিষয়টি নির্ভর করে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আরেকটি মহড়া হতে পারে সিটি নির্বাচন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানুষ ভোট দিতে পারবেন কি না সে শঙ্কার পাশাপাশি ইভিএমের কারণে ভোট দিলেও সে ভোট পছন্দের প্রার্থীর মার্কায় পড়বে কি না তা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম’র মাধ্যমে ভোট গ্রহণের অতি আগ্রহ মানুষের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন নির্বাচন কমিশন ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণের জন্য এতো জেদ করছে কেন? বিএনপি অবশ্য এরই মধ্যে ইভিএমের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ইভিএমে নি:শব্দে কারচুপি হবে হৈচৈ হবে না। ইভিএম নিয়ে মানুষের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। আমরা ইভিএম প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা ইভিএমের কোনও ব্যবহার গ্রহণ করব না’। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা অবশ্য বলেছেন, সবাই ইভিএমের বিরোধিতা করলে সেটা ব্যবহার করা হবে না। কিন্তু মানুষ তার কথায় বিশ্বাস করছে না।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা কম কেন জানতে চাইলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, এ নির্বাচনে নানান কারণে প্রার্থী সংখ্যা এবং ভোটারদের আগ্রহ কম। আগে স্থানীয় নির্বাচনে প্রভাবশালী এবং সমাজসেবি, শিক্ষিত, স্থানীয় জনপ্রিয়রা প্রার্থী হতেন। এখন দলীয় ভিত্তিতে ভোট হওয়ায় তারা প্রার্থী হচ্ছেন না। সবাই জানেন ভোট হবে দলীয় ভিত্তিতে। তাছাড়া ভোট ডাকাতির মধ্যেও নির্বাচিত হলে ক্ষমতাসীনদের মামলা, হামলার ভয়। গত কয়েক বছরের উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে নির্বাচিত প্রায় সাড়ে ৪শ’ জন প্রতিনিধিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পদচ্যুত করে বিরোধী দল করার কারণে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা এবং অধিকাংশকেই কারাগারে নেয়। সে জন্যই প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ নেই। আর দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা পরিষদ এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচনে ভোটারদের ভোট দিতে দেয়া হয়নি। প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে ভোট কর্ম সম্পন্ন হয়েছে। ইসির প্রতি মানুষের বিশ্বাস নেই। কাজেই মানুষ অযথা ভোট নিয়ে ভাবতে আগ্রহী নয়। তবে যদি নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন হয় মানুষ যদি মনে করে যাকে ভোট দেব সে ভোট পাবে তাহলে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ বাড়বে।
ইভিএম নিয়ে ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)’ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে ভোটারদের মধ্যে এক অনলাইন জরিপ করেছে। সুজনের ওয়বসাইটে পরিচালিত এই জরিপে ১৪০০ জন অংশ নেন। যার ৯১ শতাংশই আসন্ন ঢাকা সিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করেন। জরিপের এই চিত্র তুলে ধরে সুজন থেকে বলা হয়, ইভিএম নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে চলছে বিতর্ক। আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম’র মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসি’র এই ঘোষণার পর ইভিএম নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিতর্ক শুধু রাজনৈতিক মহলেই সীমাবদ্ধ নয়, ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মধ্যেও রয়েছে অবিশ্বাস, সন্দেহ ও আস্থার সঙ্কট। সুজন থেকে বলা হয়, ইভিএম ব্যবহারের ওপর আস্থার সঙ্কটের মোটাদাগে দুটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, বর্তমান নির্বাচন কমিশন এবং যে প্রক্রিয়ায় কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদসহ কতগুলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরিচালনা করেছে তার ওপর অনাস্থা। দ্বিতীয়ত, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কমিশন যে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা নিচ্ছে তার ওপর অনাস্থা ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা ভোট নিয়ে আগ্রহী নন। তাদের ধারণা বিগত সিটি নির্বাচনের মতোই ভোটের নামে প্রহসন হবে। এবার পুলিশ নিয়ে না করে ইভিএমের মাধ্যমে চুপিসারে করার প্রক্রিয়া চলছে। সে জন্য ভোট দিতে আগ্রহী নন। তবে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ভোট দিতে যাবেন।
জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র পদপ্রার্থী শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা শঙ্কা রয়েছে। ইভিএম দিয়ে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশা করা যায় না। ইভিএম এর মাধ্যমে একজন প্রিজাইডিং অফিসার ২৫% ভোট হেরফের করতে পারেন। ইভিএম প্রক্রিয়ায় বাটন চেপেই সাধারণ ভোটারদের ভোট নয়ছয় করা সম্ভব। মুক্তিযোদ্ধা এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশন হবে নিরপেক্ষ রেফারি। কিন্তু তারা ইভিএম-এর মাধ্যমে নির্বাচন করতে জেদ ধরে বসে আছেন। একাদশ নির্বাচনের দিনে নির্বাচন রাতে ভোটের বিকল্প হিসেবে ইভিএমের মাধ্যমে এক মার্কার ভোট অন্য মার্কায় নিতে ইসির এই জেদাজেদি মানুষকে ভোট দেয়ায় নিরুৎসাহিত করছে।
এবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন ৬ জন। এরা হলেন আতিকুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), তাবিথ আউয়াল (বিএনপি), আহম্মেদ সাজেদুল হক রুবেল (সিপিবি), শেখ ফজলে বারী মাসউদ (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ), শাহীন খান (পিডিপি), আনিসুর রহমান দেওয়ান (এনপিপি)। অথচ ২০১৫ সালের নির্বাচনে এই সিটিতে মেয়র প্রার্থী ছিলেন ১৬ জন। তারা হলেন শামসুল আলম চৌধুরী, চৌধুরী ইরাদ আহমদ সিদ্দিকী, আবদুল্লাহ আল ক্বাফি রতন, এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম, বাহাউদ্দিন আহমদ, নাদের চৌধুরী, কাজী মো. শহীদুল্লাহ, মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, আনিসুল হক, মো. আসাদুজ্জামান খোকন, তাবিথ আউয়াল, মো. জামাল ভুয়া, শেখ শহিদুজ্জামান, মো. জোনায়েদ আবদুর রহিম সাকী. মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী, শেখ মো, ফজলে বারী মাসউদ। কমিশনার পদেও বিগত নির্বাচনের চেয়ে এবারে প্রার্থী সংখ্যা কম।
ঢাকা উত্তর সিটি রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস স‚ত্রে জানা গেছে, এই বাছাইয়ে এই সিটিতে মেয়র পদে একজন ছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৫ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। ফলে এই সিটিতে মেয়র পদে ৬, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৭৪ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৮৯ জন মোট ৪৬৯ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে (এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত)।
ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে এবার মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন ৭ জন। এরা হলেন শেখ ফজলে নূর তাপস (আওয়ামী লীগ), ইশরাক হোসেন (বিএনপি), হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন (জাপা), আবদুর রহমান (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ), বাহারানে সুলতান বাহার (এনপিপি), আব্দুস সামাদ সুজন (গণফ্রন্ট), আকতার উজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ (বাংলাদেশ কংগ্রেস)। অথচ ২০১৫ সালের সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ছিলেন ২০ জন। তারা হলেন, আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ, আবদুল খালেক, জাহিদুর রহমান, আবু নাসের মুহাম্মদ মাসুদ হোসাইন, বাহারানে সুলতান বাহার, এ এস এম আকরাম, শাহীন খান, দিলীপ ভদ্র, শহীদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, মোহাম্মদ শফি উল্লাহ চৌধুরী, আবদুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, বজলুল রশিদ ফিরোজ, মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, মশিউর রহমান, এ এম আসাদুজ্জামান রিপন, গোলাম মাওলা রনি, মোহামম্দ আয়ুব হুসেই, রেজাউল করিম চৌধুরী। কমিশনার পদেও এবার প্রার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। এবার সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ১০২ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে বৈধ প্রার্থী এখন ৪৬০ জনসহ এই সিটিতে মোট বৈধ প্রার্থী ৫৬৯ জন। অথচ বিগত নির্বাচনে এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ ছিল।
এদিকে মানুষের ভোটাধিকার রক্ষার দায়িত্ববোধ থেকে আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল গুলশানে কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইভিএমের মতো নিঃশব্দ নির্বাচনী কারচুপি পদ্ধতি কিছুতেই কার্যকরি ভ‚মিকা রাখতে পারে না। এটা মানুষের ভোটাধিকার স্থায়ীভাবে কেড়ে নেয়ার এক মহাষড়যন্ত্র ও দুরভিসন্ধি। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিজিটাল কারচুপির এক নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী আলহাজ আব্দুর রহমান বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমরা আতঙ্কে আছি। সাধারণ ভোটার ইভিএম সম্পর্কে অবহিত নয়। ভোটের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে ইভিএম প্রত্যাহার করেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। ভোট ডাকাতির নির্বাচন দেশবাসি আর দেখতে চায় না।
আসন্ন ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীদের অহেতুক হয়রানি না করতে পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে বলেন, আমাদের কাছে সবাই প্রার্থী ও সব দলই নিবন্ধিত। পুলিশের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, তারা যেন কোনো প্রার্থী, ভোটার, রাজনৈতিক দল- কাউকেই যেন অহেতুক হয়রানি করা না হয়।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলামকে শোকজ করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল নির্বাচন কমিশনে আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলেছি যেন তাকে শোকজ করা হয়। একইসঙ্গে কেন এ ধরনের ঘটনায় ঘটেছে, সেটি যেনো জানতে চাওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।