রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মুহুরী সেচ প্রকল্প থেকে সোনাগাজীর কৃষকেরা কোন প্রকার সেচ সুবিধা পাচ্ছেন না। জানা যায়, তিনটি কারনে ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৬ সালে শত কোটি টাকা ব্যায় করে নির্মাণ করা হয় সেচ প্রকল্পটি। নদী ভাঙন, সাগরের লোনা পানি থেকে বিস্তৃর্ন অঞ্চল রক্ষা ও অধিক ফসল উৎপাদন।
দীর্ঘদিন পর নদী ভাঙন থেকে রক্ষা ও সাগরের লোনা পানি থেকে সোনাগাজীবাসী সুফল পেলে ও অধিক ফসল উৎপাদন করতে পারছেনা কৃষক।
সূত্র জানায়, শুষ্কমৌষমে মুহুরী প্রকল্প থেকে সেচ সুবিধার মাধ্যমে বরো ধান ও রবিশষ্য উৎপাদন করার জন্য যে সেচ সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল তা বাস্তবে হয়নি।
সোনাগাজী কৃষি বিভাগ জানায়, সোনাগাজীতে ছোট বড় ৫৪টি খাল রয়েছে। খালগুলো, উদ্বার ও খনন না করার কারণে প্রকল্প থেকে পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ফলে বর্ষাকালে পানিবদ্ধতা ও শুষ্কমৌষমে খালগুলোতে পানি শূন্যতা সৃষ্টি হয়। ওই অবস্থায় আউশ ও আমন ধান কিছুটা উৎপাদন হলেও বরোধান উৎপান হচ্ছে না। সোনাপুর গ্রামের কৃষক বাহার মিয়া জানান, সোনাপুর, ছফরপুর, চর ডোব্বা, চর ছান্দিয়াসহ কয়েকটি গ্রামে কৃষকেরা নিজ উদ্যোগে বোরো আবাদ করছে, কিন্তু মুহুরী সেচ প্রকল্প থেকে কোন ধরনের সেচ সুবিধা পাচ্ছে না।
চর ছান্দিয়া গ্রামের কৃষক মফিজ মিয়া জানান, আমাদের গ্রামের দু’পাশে ২টি খাল থাকলেও দীর্ঘদিন সংস্কার ও খনন না করায় খালগুলোতে বাড়ি-ঘর, দোকান নির্মাণ করে রেখেছে। ফলে বর্ষাকালে পানিবদ্ধতা ও শুষ্কমৌষমে পানি শূন্যতার সৃষ্টি হয়। যার কারণে সোনাগাজী কৃষকের বছর জুড়ে দুঃখ লেগেই থাকে।
সোনাগাজী এডিপি প্রকল্পে কর্মরত প্রকৌশলী মামুন জানান, চলতি অর্থবছরে খালগুলোতে সংস্কার কাজ চলছে। স্থানীয়দের অভিমত, খালগুলো উদ্ধার ও খনন করে সোনাগাজীতে সেচ সুবিধা প্রদানের কাজ চললেও বাস্তবে তার প্রতিপলন কতটুকু ঘটবে তা দেখার অপেক্ষায় আছে সোনাগাজীর কৃষক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।