Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সুবর্ণচরে শিম চাষে সফলতা

মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন, সুবর্ণচর (নোয়াখালী) থেকে | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

বাংলার ঘরে ঘরে শিম জনপ্রিয় সবজি হিসেবে পরিচিত। এটি প্রোটিন সমৃদ্ধ সবজি, এর বিচিও পুষ্টিকর সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। এটি জমি ছাড়াও রাস্তার ধারে, আইলে, ঘরের চালে এবং গাছেও ফলানো যায়। খনিজ উপাদানে ভরপুর শিম চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে, হাড় সুগঠিত করে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং নিয়মিত শিম খেলে হৃদ রোগের ঝুঁকি কমে আসে। শিমের বিচিতে ভিটামিন বি-সিক্স থাকে এছাড়াও শিম মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে ও এলার্জির সমস্যার প্রতিকারক হিসেবে বেশ কার্যকর।
সরেজমিনে জানা যায়, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের চর বায়েজিদ গ্রামের কৃষক মো. সালাউদ্দিনের সাথে কথা হয়, প্রায় দশ বছর আগে ভোলার চরফ্যাশন থেকে স্ত্রী, দুই সন্তান নিয়ে বসতি গড়েন এ গ্রামে। শুরুতে অভাব অনটনের মধ্যে দিন কাটলেও পরবর্তীতে এলাকার কয়েকজন মিলে শুরু করেন শিমসহ নানা ধরনের সবজি ও মাছ চাষ। সফলতাও আসে, ধীরে ধীরে ঘুচে যায় অভাব নামক অভিশাপের।
সালাউদ্দিন বলেন, তিন বছর আগে এলাকার কয়েকজনের সাথে শিম চাষে উদ্যোগী হন এবং তিন মাসেই সফলতার দেখা পান। মাত্র ১৩ হাজার টাকা পটুজি নিয়ে তিন মাসের মাথায় লাভ করেন দেড় লাখ টাকা। এর পর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি, এতদিনে কিছু জমিও কিনেছেন। এবার পাঁচ একর জমিতে শিম চাষ করেন, এতে খরচ হয়েছে ৯০ হাজার টাকা। ভালো পরিবেশ ও ন্যায্য দাম পেলে বিক্রি হবে ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা।
একই এলাকার চাষি মো. জামাল ফরায়েজি ও আলী আহম্মদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শিম চাষে তাদের তেমন অভিজ্ঞতা না থাকলেও নিজের মতো করে মাচা পদ্ধতিতে শিম চাষ করেছেন, সফলতাও পেয়েছেন তারা। এ চাষে ৬ থেকে ৮গুণ লাভ করা যায়। তবে উপজেলা কৃষি অফিস অথবা বিশেষজ্ঞ পরামর্শ পেলে আরো ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব হতো বলে মনে করেন তারা।
সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, চর বয়েজিদ গ্রামে মোহাম্মদ উল্যা নামে একজন কৃষককে পোকা দমনের জন্যে স্পেয়ার মেশিনসহ আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আগ্রহী কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপজেলার পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে। ‘সর্জন’ পদ্ধতির এ চাষ অর্থাৎ নিচে মাছ ও মাচার উপরে শিম চাষে এ এলাকার কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং এখানকার শিম দেশের অন্যান্য স্থানে রফতানি করা সম্ভব হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ