পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিজিবি অবৈধভাবে কাউকে সীমান্ত অতিক্রম করতে দেবে না, ঢুকতেও দেবে না। মহাপরিচালক (ডিজি) পর্যায়ের বৈঠক দুই পক্ষের মধ্যে ভারতের জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। নাগরিকত্ব আইনটি পাস হওয়ার পর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে ৪৪৫ জন বাংলাদেশে এসেছেন। ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ে বৈঠক শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজিবি ডিজি মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এনআরসি ও সিএএ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো উদ্বেগ নেই। কেননা আমরা কখনই অবৈধভাবে কাউকে প্রবেশ করতে দেবো না। অবৈধ ভাবে প্রবেশ করতে না দেয়াটাই আমাদের নিয়মিত কাজ। সুতরাং এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মত কিছু নয়। এটা ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়। বিজিবি ডিজি দাবি, ৪৪৫ জনই বাংলাদেশের নাগরিক। তারা অনুপ্রবেশকারীদের তথ্য যাচাই বাছাই এর পর এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। অনুপ্র্রবেশ নিয়ে কোনো প্রস্তুতি আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিজিবি অবৈধভাবে কাউকে সীমান্ত অতিক্রম করতে দেবে না, ঢুকতেও দেবে না। চলতি বছর সীমান্তে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
বিএসএফের প্রতিশ্রতি ছিল প্রাণঘাতী অস্ত্র সীমান্তে ব্যবহার হবে না। কিন্তু এখন কি সেরকম অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে সাফিনুল ইসলাম বলেন, ভারতের কাছে তারা এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি ডিজি বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হচ্ছে। তা ছাড়া সীমান্ত সুরক্ষার জন্য ইউক্রেন থেকে অত্যাধুনিক ১৪টি অস্ত্র কেনার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, গত এক বছরে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে এমন মানুষের সংখ্যা ১ হাজার ১ জন। এনআরসির পর নভেম্বরে ৩১২ জন, ডিসেম্বরের ১৩৩ বাংলাদেশে ঢুকেছে। অবৈধ প্রবেশ কারীদের বিরুদ্ধে ২৫৩টি মামলা হয়েছে। গত এক বছরে সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে নারী-শিশুসহ ৯৭২ জনকে আটক করা হয়েছে। গত ২৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠক সম্পর্কে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেন বিজিবি ডিজি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।