Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৈধ মালিকানার স্থাপনায় পাউবোর অবৈধ ভাঙচুর

ফেনী জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

পাউবোর অবৈধ স্থাপনা ভাঙার অভিযানে বৈধ মালিকানার বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘর বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব বাড়ির মালিকরা প্রতিকার পেতে ফেনী জেলা প্রশাসক, উপপরিচালক এনএসআই ও ফেনীতে কর্মরত সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান

অভিযোগে জানা গেছে, ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়নের কাজিরবাগ মৌজার কুমাড়িয়া খালের উত্তরপার্শ্বে ভুক্তভোগিরা তাদের কেনা জমিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু গত ২৪ ডিসেম্বর পাউবোর উদ্যোগে বেআইনিভাবে তাদের মালিকানা জায়গার ঘর-বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়।

দক্ষিণ কাজিরবাগের ক্ষতিগ্রস্থ হাজী মমিন ভূঁইয়া জানান পাউবো তার মালিকানার কাজীরবাগ মৌজার বিএস দাগ নং-৩২১১, নিজাম উদ্দীনের মালিকানার বিএস দাগ নং-৩৩৪৭ শামছুন নাহারের বিএস দাগ নং-৩৩৪৪, রাজিয়া সুলতানার বিএস দাগ নং-৩৩৮৮, ছেমনা আক্তার বিএস দাগ নং-৩৩৮৭, আবদুল হক বিএস দাগ নং-৩১৪৮, আবদুল খালেক বিএস দাগ নং- ৩৩৮৮-এর নির্মিত বাড়ি ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় পাউবো কর্মকর্তারা। এছাড়া বিএস ৩৩৪৯ দাগের হাফেজ মোহা¥মদ বিলাল, বিএস ৩৩৪৬ দাগের মো. আমিরুল আলম ভূঁইয়া, বিএস ৩৩৮৮ দাগে মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন ভূঁইয়াসহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তির মালিকানা ও ভোগ দখলকৃত জায়গা খালের দাবী করে নোটিশ পাঠায় ফেনী পাউবো।
পাউবো থেকে ব্যক্তি নামে নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহির উদ্দিন (অ. দা.) স্বাক্ষরিত প্রথম নোটিশ প্রেরণ করা হয় ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর। দ্বিতীয় নোটিশ প্রেরণ করা হয় ১৭ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় নোটিশ পাবার পর গত ১৯ ডিসেম্বর ভুক্তভোগিরা পাউবোর নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে উচ্ছেদ অভিযান বাতিলের দাবী জানিয়ে ফেনী জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ফেনী পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়। কিন্তু তাতে কর্ণপাত না করে ২৪ ডিসেম্বর অভিযান চালিয়ে পাউবো কর্মকর্তারা শতভাগ মালিকানার বাড়িঘর ভাঙচুর করে সীমাহীন ক্ষতি করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে ফেনী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি খাল বা ভূমির বিষয়ে অভিজ্ঞ নন বলে জানিয়ে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জানান, ১৯৮১ সালের এক মামলায় সেখানকার জায়গাগুলো অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি অধিগ্রহণ বিষয়ে কোন কাগজপত্র দিতে পারেননি। খাল পুনঃখননের একটি ট্রেসিংয়ে লাল কালির দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা একটি ম্যাপ দেন তিনি। এছাড়া এ প্রসঙ্গে যেসব কাগজপত্র দেয়া হয়েছে সেগুলোর কোনটিতেই অধিগ্রহণের কোন প্রমাণ নেই। সার্ভে ইঞ্জিনিয়ার মো. জহিরুল ইসলামও ১৯৮১ সালে জায়গা অধিগ্রহণের বিষয়ে জানান। কিন্তু তিনি এ প্রসঙ্গে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ