Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বছরজুড়েই ছিল ডলারের সঙ্কট

দফায় দফায় বাড়ে দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

বছরজুড়ে চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকায় দেশের বাজারে মার্কিন ডলারের সংকট তৈরি হয়। ফলে হু হু করে বাড়ে দাম। এতে করে টাকার বিপরীতে ডলার আরও শক্তিশালী হয়। দুর্বল হতে থাকে টাকার মান। ২০১৯ সালের শুরুতে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দর ছিল ৮৩ টাকা ৯০ পয়সা। অর্থাৎ পণ্য আমদানিতে প্রতি ডলারে ব্যয় করতে হয় ৮৩ টাকা ৯০ পয়সা। চলতি বছরে দফায় দফায় দাম বেড়ে ডলার ৮৪ টাকা ৯০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। এ হিসাবে গত এক বছরে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম বেড়েছে এক টাকা। তবে সাধারণ মানুষ, যারা ভ্রমণ করতে বিদেশে যাচ্ছেন, তাদের এখন ৮৭-৮৮ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে ডলার। বছরের শুরুতে যা ছিল ৮৫-৮৬ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডলারের দাম বাড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হন আমদানিকারকরা। অন্যদিকে লাভবান হন রফতানিকারক ও রেমিট্যান্স প্রেরণকারীরা। ডলারের দাম বাড়লে আমদানি করা পণ্যের দাম বেড়ে যায়। মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ পড়ে। আর পণ্যের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যায়। স্বল্প আয়ের মানুষ সমস্যায় পড়েন বলে জানান প্রবীণ এ অর্থনীতিবিদ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বছর শুরুর ছয়দিনের মাথায় আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে পাঁচ পয়সা দাম বেড়ে ডলারের মূল্য দাঁড়ায় ৮৩ টাকা ৯৫ পয়সা। পরের মাস ফেব্রুয়ারিতে দাম বেড়ে হয় ৮৪ টাকা ১৫ পয়সা। মার্চে ১০ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪ টাকা ২৫ পয়সা। এপ্রিলে ডলারের দাম বাড়ে ২০ পয়সা আর মে মাসে আরও পাঁচ পয়সা বেড়ে ডলারের দাম গিয়ে ঠেকে ৮৪ টাকা ৫০ পয়সায়। এরপর জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে দাম স্থিতিশীল থাকলেও অক্টোবরে ২৫ পয়সা বেড়ে ডলারের দাম দাঁড়ায় ৮৪ টাকা ৭৫ পয়সায়। নভেম্বর মাসে আরও ১৫ পয়সা বাড়ে। বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর ডলারের দাম দাঁড়ায় ৮৪ টাকা ৯০ পয়সা।

এদিকে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ (বিজিএমইএ) বেশ কয়েকটি রফতানিকারক সংগঠন টাকার অবমূল্যায়নের প্রস্তাব দেয়। তাদের দাবি নাকচ করে দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, সবাই চান মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হোক, তা হবে না। তা হলে রফতানি আয় বাড়বে, আমি তা মনে করি না বরং অবমূল্যায়ন করা হলে দেশের অর্থনীতি খারাপ অবস্থায় পড়বে।ডলারের বিপরীতে টাকার মান দুর্বল হলেও শক্তিশালী হয়েছে আরেক প্রভাবশালী মুদ্রা ইউরোর বিপরীতে। বছরের শুরুতে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ইউরোর মূল্য ছিল ৯৬ টাকা ১৯ পয়সা। বছর শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯৪ টাকা ৯০ পয়সা। এ হিসাবে এক বছরে টাকার বিপরীতে ইউরোর মান কমেছে এক টাকা ২৯ পয়সা।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দাম

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৯ জানুয়ারি, ২০২৩
১৪ জানুয়ারি, ২০২৩
১০ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ