পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কনকনে শীত। হাঁটুতে মুখ গুঁজে কাঁপছিলেন পঁচাত্তরোর্ধ্ব রহিমন বেওয়া। রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। নারায়ণগঞ্জগামী ফ্ল্যাটফরম তার বর্তমান ঠিকানা। সংসার বলতে কাপড়ের একখানা পুটলি। হাঁড়ক্ষয় রোগে কাবু হয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না। পুটলি ঠেলে ঠেলে ভিক্ষা মাগেন স্টেশনের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। রুদ্ধশ্বাস ছুটে চলা লাখো মানুষের ভীড়ে রহিমনের প্রতি কারো ভ্রুক্ষেপ না থাকাটাই স্বাভাবিক। এই শীতে তিনি কেমন আছেন-কিভাবে কাটছে তার দিনকাল-এমন প্রশ্নও তাই অবান্তর। উন্নয়ন-প্রচারণার ঝঞ্ঝায় মানবিক প্রসঙ্গগুলো যেন এখন অনেকটাই গৌণ। শীতার্ত রহিমন বেওয়াদের কথা কেই বা ভাবে ? এমন বিপরীত বাস্তবতায় কমলাপুর স্টেশনের দু:স্থ রহিমন বেওয়াদের গায়ে মানবতার কম্বল জড়িয়ে দিলো ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’ (এইচআরপিবি)। মধ্য পৌষের রাতে নতুন এই কম্বল পেয়ে দরিদ্র মানুষগুলোর মাঝে কীযে আনন্দ-উষ্ণতা! এই অনাবিল উষ্ণতাই অনুভব করেন সংস্থার প্রেসিডেন্ট সুপ্রিমকোর্ট বারের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
তার নেতৃত্বে সংস্থাটি গতকাল মঙ্গলবার রাতে কয়েক শ’ দু:স্থ শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এবং হাইকোর্ট মাজার প্রাঙ্গনে বিতরণ করা হয় এসব কম্বল। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরি, অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভুইয়া, অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দুলাল, অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান,অ্যাডভোকেট ইমরুল কাওসার, অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমান পাটওয়ারি, অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল প্রমুখ। সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগ, অর্থায়ন এবং স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কম্বল বিতরণ করা হয়।
‘হিউম্যান লাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’ মানবাধিকার এবং পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন। মানুষের মানবিক ও আইনগত অধিকার এবং পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছে এ সংগঠন। সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং মানবিক বোধ থেকেই সংগঠনটির যাত্রা। উচ্চ আদালতে জনস্বার্থে মামলা পরিচালনার মধ্য দিযে ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র দেশ-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি। অসহায়, অস্বচ্ছল মানুষদের পাশেও দাঁড়ায় সংগঠনটি। ধারাবাহিক এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দু:স্থ, ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।