Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মঠবাড়িয়ায় ব্রিজ ভেঙে ১২ রুটে যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পিরোজপুর জেলা সংবাদদতা : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার গুদিঘাটা বেইলি ব্রিজ ভেঙে মঠবাড়িয়া ও পাথরঘাটার মধ্যকার ১২টি ‍রুটে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

এতে দুর্ভোগে পড়েছে মঠবাড়িয়া,‍ পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলার হাজারো মানুষ। এ অবস্থায় ঈদের আগেই ভেঙে পড়া ব্রিজের স্থলে নতুন ব্রিজ বা বিকল্প ব্যবস্থায় যান চলাচলের দাবি স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা জানায়, গত ১৫ জুন সকালে পাথরবোঝাই দুটি ট্রাক একসঙ্গে ব্রিজটি পার হতে গেলে এটি ভেঙে গিয়ে ট্রাক দুটি নিচের খালে পড়ে যায়। এতে ট্রাকের হেলপার আসাদুল ইসলাম ট্রাকের মধ্যে আটকা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

সেতুটি ভেঙে পড়ায় মঠবাড়িয়া ও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সঙ্গে ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও পিরোজপুরসহ ১২টি রুটে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
আজ সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতু ভেঙে যাওয়া খালে খেয়া নৌকায় করে জনপ্রতি পাঁচ টাকা ভাড়ায় যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। এছাড়া দুই কিলোমিটার পথ ঘুরে বিকল্প সড়ক দিয়ে তিন চাকার যানবাহন চলাচল করলেও বাস বা ট্রাক চলাচল করতে পারছে না।

ঈগল পরিবহনের মঠবাড়িয়া কাউন্টারের ব্যবস্থাপক ফুয়াদ আকন বলেন, পাথরঘাটা থেকে ৩৬ কিলোমিটার ও মঠবাড়িয়া থেকে ছয় কিলোমিটার অন্য যানবাহনে গুদিঘাটায় গিয়ে ঢাকার বাসে উঠতে হয়। এতে যাত্রীদের বাড়তি টাকা খরচ হয়। দুর্ভোগও পোহাতে হয়।

উপজেলার গুদিঘাটা গ্রামের আবদুল হাই বলেন, বাড়ি থেকে প্রতিদিন বাসে ১০ টাকা দিয়ে মঠবাড়িয়া বাজারে যেতাম। এখন পাঁচ টাকা দিয়ে খেয়া পার হয়ে অটোতে ২০ টাকা আর মোটরসাইকেলে ৩০টাকা দিয়ে বাজারে যেতে হয়।

নিরাপদ সড়ক চাই এর মঠবাড়িয়া শাখার সভাপতি আরিফ উল হক বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। ঈদের আগে বেইলি সেতু নির্মাণ বা বিকল্প ব্যবস্থায় সড়কটিতে সরাসরি যান চলাচলের দাবি জানিয়ে আমারা ১৯ জুন মঠবাড়িয়ায় মানববন্ধন করেছি। কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগ এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

এ বিষয়ে পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলে রাব্বি বলেন, ভেঙে যাওয়া সেতুর স্থলে দ্রুত কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।

ঈদের আগে সড়কটিতে সরাসরি যান চলাচলের কোন ব্যবস্থা করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ করা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ