Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চার্জশিট দিতে পুলিশের গড়িমসি

আহসান আলীর বিরুদ্ধে মামলা

বেনাপোল অফিস | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক ডিডি আহসান আলীর বিরুদ্ধে কাস্টমস’র দায়ের করা মামলায় দীর্ঘ ৩ মাসেও চার্জশিট দেয়নি বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ। তার অব্যাহত চাপের মুখে পুলিশ চার্জশিট দিতে গড়িমসি করছে বলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছেন। বেনাপোল কাস্টম হাউসের পক্ষে মামলাটি করেন কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জিএম আশরাফুল ইসলাম। যার মামলা নং-৩৮ তারিখ ২৫/০৯/১৯ ইং।
কাস্টমস এর সহকারী কমিশনার উওম চাকমা জানান, তদবিরবাজ আহসান আলীর অর্থ বিনিয়োগে রিতু ইন্টারন্যাশনাল ও জেড এইচ কর্পোরেশন এর নামে আমদানি করা ৩১টি পণ্যচালানের বিপরীতে ২ কোটি ২ লাখ ৭০৮ টাকার রাজস্ব ফাঁকির তদবিরে ব্যর্থ হয়ে বেনামে দুদক, রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন দফতরে কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন এবং তা বিভিন্ন্ পত্র পত্রিকায় সরবরাহ করেন আহসান আলী।
ফলে কাস্টমস হাউসের কমিশনার শুল্কায়ন কাজে মনোনিবেশ করতে ব্যর্থ হওয়ায় চলতি অর্থ বছরে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ১ হাজার ১ শ’ ৭৪ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়। এর আগে তিনি মোবাইল নং- ০১৭৭০০২৯৪১.. থেকে কল করে কমিশনারসহ দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি, এসএমএস এবং ১৯/১১/২০১৮ তারিখে সশরীরে এসে কমিশনারকে চাপ সৃষ্টি করেন। নিরপাত্তাজনিত কারণে কমিশনার’র কক্ষে তার উপস্থিতিকাল ও কর্তবার্তা মোবাইলে ভিডিও করে রাখা হয়। ভিডিও ক্লিপ, অডিও ক্লিপ ও হুমকির এসএমএস মামলার সাথে প্রমাণ হিসেবে দাখিল করা হয়।
কাস্টমস অফিসার্স এসোসিয়েশনের পক্ষে বলা হয়, আহসান আলী সরকারের ২০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যে কাগজপত্র জমা করা, কমিশনারের দপ্তরে সশরীরে এসে অবৈধ তদবিরসহ চাপ সৃষ্টি করা (ভিডিও সংযুক্ত), বেনামী অভিযোগ লিখে সশরীরে গিয়ে বিতরণ, সরকারের ১ হাজার ১শ’ ৭৪ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি সাধন, আরো ক্ষতির প্রচেষ্টায় ধারাবাহিক লিপ্ত থাকে। তিনি দুদকের ভূয়া কর্মকর্তা মিথ্যা পরিচয় দিয়ে শুল্ক ফাঁকির জন্য অবৈধ তদবির ও চাপ প্রয়োগ, কমিশনারকে পরিকল্পিতভাবে ধারাবাহিক হয়রানি, কর্মকর্তাদের দুদকের ভীতি দেখিয়ে স্বার্থ হাসিল এবং সরকারী কাজে উপর্যুপরি বাধা সৃষ্টি করেছেন। কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী বলেন, তদবিরবাজ আহসান আলী এখনও অব্যাহত হুমকি দিয়ে চলছে। ফলে কর্মকর্তরা কাজ করতে পারছেনা। পুলিশকে আহসান আলী চাপ দিয়ে চার্জশিট দিতে বাধাগ্রস্থ করছে। যিনি এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিল তিনি আজোও চার্জশিট দাখিল করতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে গোটা কাস্টমস হাউসে অসন্তোষ বিরাজ করছে। বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান জানান, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। মামলার চার্জশীট দিতে আরো কিছু দিন সময় লাগতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ