বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জ স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলায় ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত। অপহরণের শুরু থেকে লাশ নদীতে ফেলা পর্যন্ত ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে সাক্ষ্য দিয়েছেন তৎকালীন র্যাব-১১ এ কর্মরত দুই সদস্য। এসময় তাদের দায়িত্ব ও ঘটনা সম্পর্কে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা হতে ১২টা পর্যন্ত গ্রেফতার ২৩ আসামির উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন সাক্ষ্য ও জেরা গ্রহণ করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন এ তথ্য জানিয়ে বলেন, আগামী ১১ জুলাই এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। বাদী পক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, র্যাব-১১ এ তৎকালীন সময় দায়িত্ব পালনরত হাবিলদার নাজিম উদ্দিন ও সৈনিক মিলন সাতজনকে অপহরণের শুরু থেকে লাশ নদীতে ফেলা পর্যন্ত ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ের জামাতা বিজয় কুমার পাল ও অপর বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। দুটি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী হলো ১২৭ জন করে।
প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৭ জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তদন্ত শেষে প্রায় এক বছর পর গত ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের দুটি মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। আর চার্জশীটভুক্ত আসামিদের মধ্যে ১২ জন পলাতক রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।