Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শুদ্ধি অভিযান : সাঈদ আউট

আ.লীগের দুর্নীতিবিরোধী শুদ্ধি অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

আওয়ামী লীগের দুর্নীতি বিরোধী শুদ্ধি অভিযানে এবার কাটা পড়লেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে অভিযান শুরু করেছেন তার প্রতিফলন ঢাক সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী মনোনয়নে দেখা গেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দু’দিন আগেই বলেছেন, আমাদের নেত্রী ক্লিন ইমেজের নেতাকে মনোনয়ন দিতে চান। কার্যত তাই হয়েছে। দুর্নীতিসহ নানা কারণে বিতর্কিত মেয়র সাঈদ খোকনকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়নি। তার স্থলে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে অত্যন্ত ভদ্র এবং পরিচ্ছন্ন ইমেজের নেতা ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ উঠে। দায়িত্ব পেয়েই শূণ্য পদে নিয়োগ, পদ ছাড়া অতিরিক্ত পদে নিয়োগ, কমিশনের বিনিময় নিজের পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাওয়ার বিস্তর অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। মেয়রের পরিচয় দিয়ে তার স্বজন, নিকটাত্মীয় ও বন্ধু বান্ধবেরা হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। অভিযোগ রয়েছে, নগর ভবনসহ পুরো পাঁচ অঞ্চলের সমন্বয়ে শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলে এসব কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে। এসব অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে কারো কারো বিরুদ্ধে আবার দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) মামলা হয়েছে। এতে সংস্থার স্বাভাবিক কার্যক্রম গতি হারিয়েছে বলে নগর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। যে কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েছেন মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

সাঈদ খোকনের মনোনয়ন না পাওয়ার ব্যপারে আওয়ামী লীগের সূত্র মতে জানা যায়, নগরবাসীর আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ করতে না পারা, বিভিন্ন সময়ে বেঁফাস মন্তব্য, মশা নিধনে ব্যর্থতা ও নগরবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে না পারাই অন্যতম কারণ। তবে ডিএসসিসি’র মেয়র সাঈদ খোকন দাবি করে বলেন, দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনি কখনও কর্তব্যের অবহেলা করেননি। সততা ও নিষ্ঠার সাথে তিনি তার দায়িত্ব পালন করেছেন।

নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, মেয়র হিসেবে সাঈদ খোকন অনেক কাজ করেছেন। আবার কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তার আরও কাজ করার সুযোগ ছিল। তবে কিছু বেঁফাস কথাবার্তা তাকে সমালোচিত করেছে। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী সূত্র জানায়, সাঈদ খোকন মেয়র হিসেবে পুরো একটি টার্ম দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু এসময় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি ও ও সে সময় বেঁফাস কিছু মন্তব্যের কারণে অনেকবার নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়েছেন খোকন। এছাড়া, দলীয় রাজনীতিতেও কোন্দলে জড়িয়ে পড়েন তিনি, যেটা ক্ষমতাসীন দলের ইমেজকে নষ্ট করেছে। এছাড়া, মেয়র হিসেবে খোকন নগরবাসীর আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেননি। মূলত এসব কারণেই তাকে বাদ দিয়ে ডিএসসিসির মেয়র পদে এবার নতুন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

জানা গেছে, গত সিটি নির্বাচনী ইশতেহারে পাঁচটি প্রধান সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। এর বাইরে আরও ১০টি প্রতিশ্রুতি ছিল তার। প্রধান সমস্যাগুলোর সমাধান হয়নি। অন্যান্য প্রতিশ্রুতিরও বাস্তবায়ন চিত্র আশাব্যঞ্জক নয়। তবে কিছু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছেন, কাজ চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে নগরবিদেরা বলছেন, নির্বাচনের আগে বর্তমান মেয়র এমন অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যেগুলো সিটি কর্পোরেশনের এখতিয়ারের বাইরে। আবার এমন অনেক প্রতিশ্রুতি ছিল যেগুলোর বাস্তবায়ন সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে যেসব প্রতিশ্রুতি সরাসরি সিটি কর্পোরেশনের বাস্তবায়নের কথা, সেগুলোতে মেয়র সফল হতে পারেননি।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল সর্বশেষ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন ‘পরিকল্পিত উন্নয়ন, সুযোগের সমতা, নিরাপদ ও দূষণমুক্ত আধুনিক ঢাকা’ শিরোনামে ইশতেহার ঘোষণা করেন। তাতে যানজট নিরসন, দূষণমুক্ত, নাব্য ও নিরাপদ বুড়িগঙ্গা, পানি-গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যা, পরিচ্ছন্ন-দূষণমুক্ত ও স্বাস্থ্যকর মহানগরী, দুর্নীতি সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।

এর বাইরে সাঈদ খোকন আরও ১০টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেগুলোর মধ্যে ছিল ডিজিটাল মহানগরী, সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ, বস্তি উন্নয়ন ও দলিত হরিজন স¤প্রদায়ের মানবিক মর্যাদা ও সুযোগের সমতা, আবাসন সমস্যা সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ, ঐতিহ্য সংরক্ষণ, অগ্নিকান্ড প্রতিরোধ, ক্রীড়া ও চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা, কামরাঙ্গীরচরে নবগঠিত তিনটি ওয়ার্ডের উন্নয়ন ও নগর প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করা।

এ সমস্যাগুলোর মধ্যে যানজট পরিস্থিতি ছিল অন্যতম। বাস্তবে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে রাজধানীর যানজট পরিস্থিতি আরও দুর্বিষহ হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনকে যানজট নিরসনে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। রিকশার নিবন্ধন নিতে হয় সিটি কর্পোরেশন থেকে। ঢাকায় কত রিকশা চলে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। বিশ্বব্যাংক বলছে, ঢাকার রাস্তায় কমপক্ষে আট লাখ রিকশা চলে। শহর দাপিয়ে বেড়ানো এসব অবৈধ রিকশা বন্ধে সিটি কর্পোরেশন কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, ঢাকায় এখন ঘণ্টায় গড়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার গতিতে চলছে যানবাহন। যানজটে ঢাকায় প্রতিদিন ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। আর যানজটের কারণে বছরে যে আর্থিক ক্ষতি হয়, অঙ্কের হিসাবে তা প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা।

এছাড়া দূষণের শীর্ষে ঢাকার নাম আসছে বারবার। অপরিচ্ছন্নতা, দূষণ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সাঈদ খোকন ঢাকার সমস্যা সঠিকভাবেই চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন। এসব সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু গত পাঁচ বছরে এসব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে উদ্যোগ ছিল না বললেই চলে। কয়েক বছর ধরেই ঢাকার বায়ুমান খারাপ হচ্ছে। চলতি বছর একাধিকবার বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে উঠে আসে ঢাকা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসের বেশির ভাগ সময় ঢাকা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষ পাঁচে।

নির্বাচিত হওয়ার সময় ঢাকাকে একটি আধুনিক, উন্নত এবং পরিশীলিত নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন সাঈদ খোকন। কিন্তু গত সাড়ে চার বছরে তিনি এর কিছুই বস্তবায়ন করতে পারেননি। বরং অনেক ক্ষেত্রে ঢাকা দক্ষিণ আরও জীর্ণশীর্ণ, হতদরিদ্র হয়েছে। বিশেষ করে, দুই সিটি কর্পোরেশন বিভক্ত হওয়ার পর আনিসুল হক এবং সাঈদ খোকন একই সাথে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে সময় আনিসুল হক যেমন ঢাকা উত্তরে অনেক পরিবর্তনের আমেজ এনে দিয়েছিলেন, সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন। এবারের নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার ক্ষেত্রে এই ব্যর্থতার দায়ের কথাই অনেকে মনে করে দিচ্ছেন। একটা উন্নত, আধুনিক নগরীর জন্য যে দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন, সেটা কখনোই সাঈদ খোকন দেখাতে পারেননি বলে কেউ কেউ মনে করেন। তার দৃষ্টিভঙ্গির সীমাবদ্ধতা, বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অভাব নগরবাসীকে বিরক্ত করেছে। নগরবাসী আশাহত হয়েছে। এটাও সাঈদ খোকনের ব্যর্থতা। সাঈদ খোকন নগর ভবনের দায়িত্ব গ্রহণ করার পরই একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কাছে বন্দি হয়েছিলেন বলে অনেকেরই অভিযোগ। সেখানে টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানারকম দুর্নীতির অভিযোগ প্রায়সময়ই ছিল। এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে সাঈদ খোকন সীমাহীন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

ডেঙ্গু মোকাবেলায় ব্যর্থতা ছিল মেয়র সাঈদ খোকনের এ বছরের সবছেয়ে আলোচিত বিষষ। ডেঙ্গু মোকাবেলার ক্ষেত্রে শুধু ব্যর্থতার পরিচয়ই দেননি, বরং ভুল তথ্য, বিভ্রান্তিকর বক্তব্য এবং অযৌক্তিক কর্মকান্ড দেখিয়ে নগরবাসীর বিরক্তির উদ্রেক করেছিলেন। এ কারণে ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ মানুষ ডেঙ্গু মোকাবেলায় সাঈদ খোকন এবং সিটি কর্পোরেশনকে বেশি দায়ী করেছেন। এই ব্যর্থতা নিয়ে নির্বাচন মোকাবেলা তার জন্য সহজ হতো না। কাজেই ডেঙ্গু মোকাবেলায় ব্যর্থতা সাঈদ খোকনের বড় ভুল ছিল বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মহল মনে করেন।
চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার কথা ছিল তার নির্বাচনী ইশতেহারে। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) তিন বছর আগের এক গবেষণায় দেখা যায়, ঢাকার ফুটপাতে বছরে প্রায় ১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজি হয়। ওই গবেষণায় বলা হয়, দুই সিটি কর্পোরেশন মিলে ঢাকার ফুটপাতের দৈর্ঘ্য ৪৩০ কিলোমিটার। এই ফুটপাত দখল করে আড়াই লাখের বেশি হকার ব্যবসা করে। ফুটপাতে বসতে একজন হকারকে এলাকাভেদে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রায়ই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও বেশির ভাগ ফুটপাত দখলমুক্ত করা যায়নি। সিটি কর্পোরেশনের উদাসীনতা ও চাঁদাবাজদের দাপটে এই উদ্যোগ পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে অভিযানের পরপরই সেখানে আবার বসে পড়ছেন হকাররা। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন হকারদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে নগরীর পাঁচটি স্থানে ‘হলিডে মার্কেট’ চালুর উদ্যোগ নেয়। এর মধ্যে দুটি মার্কেট চালু হয়েছিল, এখন তাও বন্ধ।

বুড়িগঙ্গার সৌন্দর্যবর্ধনের প্রতিশ্রুতি ও প্রকল্প রয়ে গেছে অসমাপ্ত। ২০১৬ সালে ‘ঢাকা ইন্টিগ্রেটেড আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড স্মার্ট সিটি ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট’ নামে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও বিএমডিএফের আর্থিক সহায়তায় বুড়িগঙ্গা নদীর দুই তীর সংরক্ষণ এবং সৌন্দর্যবর্ধনে উদ্যোগ নিয়েছিল ডিএসসিসি। পুরান ঢাকার হাজারীবাগ থেকে নারায়ণগঞ্জের পাগলা পর্যন্ত আধুনিকায়ন করার কথা ছিল। পরে প্রকল্প কাটছাঁট করে বাবুবাজার সেতু থেকে সদরঘাট পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে কাজ বাস্তবায়নের আগেই বাধা দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিøউটিএ)। নদীর পাড়ের এই সৌন্দর্যবর্ধনে বিআইডবিøউটিএর একই ধরনের একটি প্রকল্প ছিল। অনেক চিঠি চালাচালির পর প্রকল্পটি আর বাস্তবায়ন করতে পারেনি ডিএসসিসি।

২০১৫ সালের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর নগরের গুরুত্বপূর্ণ ৫০টি গণপরিসরে ‘বিনা মূল্যে ইন্টারনেট বা ফ্রি ওয়াইফাই জোন’ করার ঘোষণা দেন মেয়র সাঈদ খোকন। ২০১৬ সালের ১১ মে লালবাগ কেল্লার ভেতর একটি ওয়াইফাই জোন উদ্বোধনও করেন তিনি। কিন্তু এরপর আর কোথাও ওয়াইফাই জোন বাস্তবায়ন করতে পারেননি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ১ হাজার ৭৫৫টি বস্তি রয়েছে। এসব বস্তিতে মোট খানার সংখ্যা ৪০ হাজার ৫৯১ এবং জনসংখ্যা ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৬ জন। বস্তিবাসীর জীবনমান উন্নয়নে গত পাঁচ বছরে ডিএসসিসি নিজস্ব কোনো প্রকল্প বা কর্মসূচি নেয়নি। তবে ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মধ্যে দলিত স¤প্রদায়ের জন্য দয়াগঞ্জে দুটি ও ধলপুরে তিনটি ছয়তলা আবাসিক ভবন করে দিয়েছে ডিএসসিসি। এখন বংশালের মিরনজল্লা ক্লিনার কলোনিতে আরও তিনটি ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করছে ডিএসসিসি।

জলসবুজে ঢাকা প্রকল্পও রয়েছে গেছে অসমাপ্ত। ২০১৭ সালের জুনে ‘জলসবুজে ঢাকা’ নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ডিএসসিসি এলাকার আওতাধীন ৩১টি পার্ক ও মাঠ উন্নয়নে কাজ শুরু করে ডিএসসিসি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ডিএসসিসি সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত তিনটা পার্ক ও তিনটা মাঠের সংস্কারকাজ শেষে উদ্বোধন করা হয়েছে। বাকি মাঠ ও পার্কের সংস্কারকাজ এখনো শেষ হয়নি।



 

Show all comments
  • Khirul Islam ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৩ এএম says : 0
    কিসের শুদ্ধি অভিযান, তাপস আরো বড় দুর্নীতি বাজ,
    Total Reply(0) Reply
  • Md MostafizurRahman Banijjo ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৩ এএম says : 0
    সাঈদ সাহেব,আত্বভোলা রাজনীতি বিদ,মুখের বয়ানে সব কিছুই করে ফেলেন। বাস্তবে সার শুন্য।
    Total Reply(0) Reply
  • Jami Shams ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৪ এএম says : 0
    শুদ্ধি অভিনয় আওয়ামী লীগ কিভাবে বলে,ক্যাসিনো খেলা শেষ
    Total Reply(0) Reply
  • Ali Akbar ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৪ এএম says : 0
    আলুর বদলে গোলালু।যে লাউ সে কদু।তারা সবাই ক্যাসিনা
    Total Reply(0) Reply
  • Ariyan Babu ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৪ এএম says : 0
    নতুন মুখ দরকার
    Total Reply(0) Reply
  • H M Tamim Khan ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৪ এএম says : 0
    যা মাল কামাইছে ৫ বছরে. তা দিয়ে চৌদ্দগুষ্টি চলে যাবে, সমস্যা নাই
    Total Reply(0) Reply
  • Miah Muhammad Adel ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 0
    আহারে মেয়র, ঢাকার রাস্তায় বিএনপি-কে মোকাবিলার ঘোেষণা দেওয়ার পরও এএল-এর সুনজরে আসতে পারলেন না।
    Total Reply(0) Reply
  • ash ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৪৮ এএম says : 0
    KOYEK HAJAR KUTHI TAKA TO KAMIE NISE ! NO CHINTA DO FURTI !! OR CHODDO GUSHTHIR KONO DIN KAJ KORE KHETE HOBE NA
    Total Reply(0) Reply
  • Mustafa Ahsan ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৭:৪২ এএম says : 0
    সবাই ভুলে গেলেন কিভাবে ? সাঈদ খোকন মসনদে বসেই ঢাকা দক্ষিনের মিউনিসিপাল টেকস ডাবল করার এক ঘোষনার মাধ্যমে আতংক সিষ্টি করে তার নগর ভবনের চামচাদের মাধ্যমে প্রতি হোল্ডিং বাবদ বাড়ি বাড়ি থেকে টেকস কমিয়ে দেওয়ার নামে হাজার হাজার টাকা আগাম ঘুষ নিয়েছিল এবং হাই কোর্টে রিট পিটিশন হওয়ার ফলে তারা সিটি টেকস বাড়াতে পারেনি আমরা টেকস ডাবল হওয়ার ভয়ে বিপুল পরিমান ঘুষও দিয়েছি আবার টেকস দিয়েছি এক টাকাও সিটি করপোরেশন এর অসাধু রাজস্ব কর্মকর্তারা ফেরত দেয়নি এই শত কোটি টাকার বানিজ্য মেয়র হিসাবে বসেই উনি জনগনের গলা কেটে পকেট ভরেছিলেন ,আর আজ উনি কাঁদেন কি বিচিত্র এই দেশ।আসলে মানুষ এত নিরজাতিত কয়টা মনে রাখবে প্রতিদিন নূতন নূতন ইস্যু আসছে সামাল দিতে দিতে জনগনের জান শেষ। অন্যান্য দূরনীতির চিত্র সরকারই ভাল জানে মতিঝিলের ক্লাব পাড়ার হিসাব তো আলাদা.......।
    Total Reply(0) Reply
  • MD.YEASIN ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৯:২৯ এএম says : 0
    আলুর বদলে গোলালু।যে লাউ সে কদু।তারা সবাই ক্যাসিনা
    Total Reply(0) Reply
  • sayed khokon bad parata ami darun khushi. Tini gata election jaliati kara pas korasilen. ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ পিএম says : 0
    I am happy
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
২৮ জানুয়ারি, ২০২১
২৭ জানুয়ারি, ২০২১
২৬ জানুয়ারি, ২০২১
২০ জানুয়ারি, ২০২০
১৮ জানুয়ারি, ২০২০
১৬ জানুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ