পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয় এবং তাদের উপর জনগনের আস্থা নেই এমন মন্তব্য করেছেন সুশানের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন আঁতাতে ব্যস্ত।
সুজন সম্পাদককে প্রশ্ন করা হয় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী? সুষ্ঠ নির্বাচন হওয়ার মতো পরিস্থিতি বিদ্যমান আছে কিনা? জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এ নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগের কারণ রয়েছে। কেননা, এ নির্বাচন কমিশনের নিরেপক্ষতা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে। গত জাতীয় নির্বাচনে তারা নিজেদের বিতর্কের উর্ধ্বে রাখতে পারেনি, অনেক কারসাজির আশ্রয় নিয়েছে। বস্তুত জাতীয় নির্বাচনে যা হয়েছে তা ম‚লত এক ধরনের অশুভ আঁতাত। নির্বাচন কমিশন, এক শ্রেণীর সরকারী কর্মকর্তা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি দলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা মিলে এ আঁতাত তৈরি করেছিলো। যে কারণে এই নির্বাচনের কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে জনমনে ব্যপক সন্দেহ রয়েছে। তাদের কাছ থেকে একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের আশা করা দুরাশা ছাড়া আর কিছুই না।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএম একটি বড় অংশের ভোটরদের ভোট প্রদান থেকে বঞ্চিত করছে। আমরা যদি গত জাতীয় নির্বাচনের দিকে তাকাই, তাহলে দেখা যায় ২৯৪টি কেন্দ্রে সাধারণ ব্যলট আর বাকীগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে। ইভিএমে ভোট পড়েছে ৫১ দশমিক ৪২ শতাংশ আর পেপার ব্যালটে ৮০ দশমিক ৮০। তাহলে ৩০ শতাংশের ফারাক কেন। সেক্ষেত্রে বলা যেতে পারে ৩০ শতাংশ মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। ইভিএমের ত্রæটি অথবা জটিলতা, কিংবা ইভিএমের প্রতি মানুষের অনীহা থেকেই ৩০ শতাংশ মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ দায়ভার কে নেবে। এ পদ্ধতির যৌক্তিকতা কোথায়? সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম-এর ব্যবহার তাই একটি মস্ত বড় ভুল হবে। কেননা ভোটররা যদি ভোট দিতে না পারেন, আপনার পদ্ধতি যদি ভোটরদের মাঝে অনীহা তৈরি করা, তাহলে সেটি কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য কোন ব্যবস্থা নয়।
বিএনপির সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে বিএনপির নেতৃত্ব ব্যর্থ হয়েছে, তারা অনেক দুর্বল অবস্থানে চলে এসেছে। যদিও তাদের অনেক জনসমর্থন আছে বলে অনেকে মনে করে। তবে নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণের বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখতে হবে। একটি রাজনৈতিক দল যদি ক্ষমতায় আসতে চায় তাহলে তাকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। এদিকে তারা যদি নির্বাচনে না যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীনেরা যে সকল অভিযোগ করছে, সে অভিযোগলো আরো শক্তিশালী হবে। আমার মনে হয় না নির্বাচনে যাওয়া ছাড়া তাদের আর কোন উপায় আছে।
আসন্ন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনকে ভোটারদের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ভোটারদের কম উপস্থিতির কারণ অনেক। যেমন অনেকের ধারণা আমি ভোট দিলেও কিছুই যায় আসে না; আবার অনেকে ভাবছেন আমি ভোট দিতে গেলে ভোট দিতে যে পারবো তার নিশ্চয়তা নেই। নির্বাচন বিষয়ে মানুষের মধ্যে ব্যপক অনাস্থা ও অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। যা আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে ফেলেছে। এটি একটি অশনি সংকেত, কারণ নির্বাচনই একমাত্র সুষ্ঠ, শান্তিপ‚র্ণ ও নিয়মকান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা বদলের পন্থা। এটি বিলুপ্ত হয়ে গেলে তা কারো জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।
নির্বাচন নিয়ে নাগরিক সমাজকে সরব না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিভিল সোসাইটি ধ্বংস করে দিয়েছে। দুয়েকজন ছাড়া সিভিল সোসাইটির অধিকাংশই অনুগত ও সুবিধাপ্রাপ্ত দুর্ভাগ্যবশত দুয়েকটি গণমাধ্যম ছাড়া কেউ দায়িত্বও পালন করছে না। সেলফসেন্সরশিপ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ কী এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ নির্বাচন কমিশন আমাদের মহা অনিষ্ট করে ফেলেছে। তাদের স্বউদ্যোগে পদত্যাগ করা উচিত। তা না হলে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা উচিত। বর্তমানে যে সমস্যা চলছে তার সমাধান আমাদের নিজেদেরই খুঁজে বের করতে হবে। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।