Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৭ জুন ২০২৪, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভূঞাপুরে বাদামের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

আবদুল আলীম আকন্দ, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ভ‚ঞাপুরে যমুনার চরাঞ্চল সুবিধা বঞ্চিত জনপদ। যমুনার কড়াল ঘ্রাসের সাথে পাল্লা দিয়েই তাদের জীবন চালাতে হয়। তাদের বেঁচে থাকার অন্যতম অবলম্বন শুস্ক মৌসুমের ফসলাদি। শুস্ক মৌসুমের ফসলাদির মধ্যে অন্যতম বাদাম চাষ। বাদাম চাষ করেই তারা বেশি লাভবান হয়। বাদাম চাষকেই তারা তাদের জীবিকার প্রধান অবলম্বন মনে করে। প্রতি বছরই এখানে ভালো বাদাম চাষ হয় তবে এ বছর বন্যায় বেশি পলি পরার কারণে অন্য বছরের তুলনায় আরো ভালো ফলন হবে বলে আশা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, যমুনা নদীর বুকজুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় বালুচর। এসব বালুচরে মাইলের পর মাইল চাষ হচ্ছে চিনা বাদাম। এ বছর এ অঞ্চলে ১ হাজার ৮শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হচ্ছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮শ’ ৯০ মেট্রিকটন। এখানকার উৎপাদিত বাদাম রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। সাদা বালুর জমিনে সবুজে সবুজে ছেয়ে গেছে লতানো বাদামের গাছে। এ উৎপাদিত বাদামের মধ্যে রয়েছে ঝিংগা, বিনা-৪ ও বারি-৮ প্রজাতির বাদাম।
উপজেলার গাবসারা চরের কৃষক আজমত আলী জানান, যমুনা চরের বালুমাটি চিনা বাদাম চাষের জন্য খুবই উপযোগী। আমি এ বছর ১৫ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছে। প্রতিমণ কাঁচা বাদাম বিক্রি হয় ১ হাজার ৪শ’ থেকে ১ হাজার ৬শ’ টাকায় এবং প্রতিমণ শুকনো বাদাম বিক্রি হয় ১ হাজার ৮শ’ থেকে দুই হাজার ২শ’ টাকায়। এবার ফলন ভালো হওয়ায় এক বিঘা জমিতে ৮ থেকে ১০ মণ বাদাম পাওয়া যাবে। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বিঘায় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভবান হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কৃষক হোসেন মিয়া জানান, বালু মাটিতে অন্য কোনো ফসল উৎপাদন করে বাদামের সমপরিমাণ লাভ হয় না। অন্যান্য ফসল উৎপাদনের চেয়ে চিনা বাদামে উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় চরাঞ্চলের অধিকাংশ কৃষক বাদাম চাষ করছেন। বাদাম রোপণের পর অন্য ফসলের ন্যায় পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। বীজ রোপণ আর পরিপক্ক বাদাম উঠানোর শ্রমিক খরচ ছাড়া তেমন কোনো খরচ নেই বললেই চলে। একটি ফসলেই তাদের সারা বছরের সংসার খরচ উঠে আসে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান জানান, বাদাম চাষের জন্য প্রনোদনা স্বরুপ ১শ’ চাষিকে ১০ কেজি করে বীজ ও ১৫ কেজি করে সার, এছাড়াও ফলোআপে ৩শ’ জন চাষিকে ১৪ কেজি করে বাদাম বীজ বিতরণ করা হয়েছে। বাদাম চাষের জন্য ভ‚ঞাপুরের যমুনার চরাঞ্চল অতি উর্বর জায়গা। বাদাম চাষের জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমরা সার্বিক সহায়তা করে যাচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ