পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মানুষের কোনো অধিকার নাই, এই রাত গেলে পরে যে রাত আসবে, সেই রাত (২৯ তারিখ) বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচাইতে কালো রাত। ওই রাতে বাংলাদেশের ১০ কোটি ভোটারের ভোট সমস্ত রাষ্ট্র মিলে লুট করে, ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। একবছর ধরে আমরা তার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিবাদ করতে পারেনি, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির কাউন্সিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, একটা সরকার, সরকারের মন্ত্রীরা আছে, মন্ত্রীদের প্রধান আছেন। তিনি নিজে, তারা নিজেরা মাইকের সামনে টেলিভিশনের সামনে এসে বক্তৃতা করছেন এই বিরোধী দলের নেতারা কি বলে? ২৯, ৩০ তারিখ ভোট হয়নি। এর চাইতে সুন্দর ভোট কীভাবে হতে পারে। তাদের চেহারার মধ্যে কান্নার চেহারা। মনে হয় যেন কত কষ্ট পেয়েছেন যে, আমরা এই ভোটটা মানিনি। আমি তাদের কষ্ট আরো বাড়ানোর জন্য বলতে চাই, মানি না, মানব না। আজ মানিনি, কাল মানিনি, যত দিন পর্যন্ত তাদের ক্ষমতা থেকে সরাতে না পারব, ততদিন মানবো না। এজন্যই আজকে রাত পোহালে যে রাত আসবে সেইদিন থেকে শুরু করবো প্রতিবাদ এবং ধীরে ধীরে প্রতিরোধ।
আগামীকাল রোববার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে দুপুর ২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে সকলকে অংশ নেওয়ার আহবান জানানিয়ে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম এই নেতা বলেন, আমাদের রব ভাই বলেছেন, আমরা আগামীকাল জমায়েত হবো, কথা বলব, মিছিল করব। যদি বাঁধা দেন মানব না। আমাদের কন্ঠ যদি বন্ধ করবার চেষ্টা করা হয়, এই কন্ঠ বন্ধ করতে পারবেন না। আমাদের মিছিলকে যদি বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে কালকে দিনই দিন নয়, আরো দিন আছে, আমরা সেই দিনের কাছে যাব।
তিনি বলেন, ৩০ তারিখ আমার দল এবং আমি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের ব্যানারে প্রেসক্লাবের সমানে দাঁড়ব। আমি পুলিশের কাছে দরখাস্ত করেছি যেন আমাদের পল্টনের মোড়ে অনুমতি দেয়া হয়, আমি সভা করতে চাই। ৩০ তারিখ আওয়ামী লীগ নাকী গণতন্ত্র মঞ্চ বানাবে তাদের অফিসের সামনে। ওইখানে লোহ-লক্কর, কাঠ-পড়ি আনা হচ্ছে মঞ্চ বানানোর জন্য। ওরা যদি মঞ্চ বানাতে পারে, আমি মঞ্চ বানাতে পারবো না-এটা মগের মুল্লুক না। আমি মঞ্চ বানাব, ওই মঞ্চে যাবো, কথা বলব। যদি বাঁধা দেন মানব না, বাঁধা দিলে বাঁধবে লড়াই, সেই লড়াইতে জিততে হবে।”
জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে ও কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক, শ্রমিক, জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা আবদুল মঈন খান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, বিকল্পধারার নুরুল আমীন ব্যাপারী, শাহ আহমেদ বাদল, জেএসডির তানিয়া রব, মো. সিরাজ মিয়া। অনুষ্ঠানে বিএনপির জয়নুল আবদিন ফারুক, গণফোরামের আবু সাইয়িদ, মহসিন রশিদও উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।