পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের রাজনীতির অবস্থা এখন কার্যত: ভাঙ্গাহাটের মতোই। গণতান্ত্রিক দেশে রাজনীতির যে সরগরম হওয়ার কথা বাস্তবে সেটা নেই। এর মধ্যেই ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, মাঠের বিরোধী দল বিএনপি, গৃহপালিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, বামদল, ইসলামী ধারার রাজনৈতিক দলগুলো। ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনকে ঘিরে কী রাজনীতির মাঠ চাঙা হয়ে উঠবে?
আসন্ন ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে হেরে গেলেই সরকারের ওপর আকাশ ভেঙে পড়বেনা বলে মনে করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অন্যদিকে এই নির্বাচনে অংশ নেওয়াকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অংশ বলছে বিএনপি। রাজধানীতে মিছিল-মিটিং সভা সমাবেশ করতে না পারা, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বড় ধরণের কোন জমায়েত করতে না দেয়া এবং আন্দোলনের জন্য জনমত গঠনে ব্যর্থতার জন্য নির্বাচনকেই বেছে নিচ্ছে দলটি। বিএনপির প্রার্থী ও নেতারা মনে করেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের প্রার্থী এবং ধানের শীষের ভোট চাওয়ার পাশাপাশি ঘরে ঘরে ভোটারদের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিটি পৌঁছে দেয়া যাবে। এজন্যই তারা এটিকে আন্দোলনের অংশ বলছেন।
গত বছরের ৩০ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দলীয় প্রতীকে রাজধানীর সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। নির্বাচন সব দল অংশগ্রহণের ঘোষণা দেয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনেরও আশা তাদের।
দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচন এবং দলীয় মনোনয়নে কাউন্সিলর নির্বাচন হওয়ায় মনোনয়ন ফরম বিক্রি কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে রাজনৈতিক দলগুলোর কেন্দ্রীয় কার্যালয়। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ও সম্ভাব্য কাউন্সিলর পদ প্রত্যাশীরা লটবহর নিয়ে মনোনয়ন ফরম কিনছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক ও অংশগ্রহণমূলক হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সকল প্রার্থীর সাথে সমান ব্যবহার করতে হবে। রাজনৈতিক দলের পরিচয়ের ঊর্ধ্বে গিয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আবার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, খুলনা, বরিশাল ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে তিনি দেখতে চান না। নির্বাচন কমিশন আইনগতভাবে স্বাধীন। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে সেই স্বাধীনতা নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাছে বন্দি। এ জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার প্রয়োজন। আমরা গণতন্ত্রের শব যাত্রায় শরীক হতে পারি না। প্রশ্ন হচ্ছে সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে রাজনীতি চাঙ্গা হবে? আর নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন তো?
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন ধরা হয় রাজধানীর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে। এই নির্বাচন ঘিরে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের আগ্রহ, উৎসাহ ও উদ্দীপনার পারদ থাকে সর্বোচ্চ। দলের সবচেয়ে জনপ্রিয়, বিতর্কের উর্ধ্বে ও হেভিওয়েট প্রার্থীকেই মনোনয়ন দিয়ে থাকে প্রত্যেক দলই। আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই বদলে গেছে ঢাকার রাজনৈতিক দলগুলোর চিত্র। নির্বাচনকে ঘিরে চাঙ্গা হয়ে ওঠেছে নেতাকর্মীরাও। মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠেছে দলীয় ও রাজনৈতিক কার্যালয়গুলো। প্রত্যেক সিটিতেই জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী প্রার্থী থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনী লড়াইয়ের আশা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। আর নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অংশগ্রহণ থাকায় ভোটারদের মধ্যেও বাড়ছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ফরম বিতরণ শেষ হবে আজ। আওয়ামী লীগেরও মেয়র পদে ফরম বিতরণের আজ শেষ দিন, কাউন্সিলর পদে আগ্রহীরা দলীয় ফরম নিতে পারবেন শনিবার পর্যন্ত। গতকাল পর্যন্ত উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ফরম কিনেছেন ৯জন এবং দক্ষিণে ৭জন। অন্যদিকে বিএনপিতে উত্তরে দলীয় মনোনয়নের জন্য ফরম কিনেছেন দুইজন এবং দক্ষিণে একজনই। আর জাতীয় পার্টির উত্তরে একজন এবং দক্ষিণে দুইজন।
আওয়ামী লীগ: দুই সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হতে মোট ১৬জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। উত্তর সিটি করপোরেশনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ ওসমানী, ভাসানটেক থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মেজর (অব.) ইয়াদ আলী ফকির, শহীদ পরিবারের সন্তান অধ্যাপক মোঃ জামান ভূইয়া। দক্ষিণে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছেন বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা-১০ আসনের এমপি শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিম, বঙ্গবন্ধু একাডেমির সভাপতি নাজমুল হক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব এম এ রশীদ।
এদের মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনে মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে আতিকুল ইসলামই এগিয়ে থাকছেন বলে আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া তার সাথে দলীয় মনোনয়ন পেতে যারা ফরম কিনেছেন তাদের তুলনায় আতিকুল ইসলামই বেশি জনপ্রিয়, হেভিওয়েট প্রার্থী বলে মনে করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে দক্ষিণে এবার বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকনের প্রার্থীতা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছেন ঢাকা-১০ আসনের এমপি শেখ ফজলে নূর তাপস। তাপস মনোনয়ন ফর কেনার কারণে এই সিটিতে দলীয় মনোনয়ন কে পাচ্ছেন তা নিশ্চিত করে এখন পর্যন্ত কেউ বলতে পারছেন না।
দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার সময় গতকাল ধানম-িতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, আজকে রাজনীতিতে আমার জন্য একটু কঠিন সময় যাচ্ছে। এই কঠিন সময়ে প্রিয় দেশবাসী, ঢাকাবাসী আমার জন্য দোয়া করবেন। অশ্রুসজল চোখে, আবেগাপ্লুত কণ্ঠে ঢাকাসহ দেশবাসীর দোয়া চেয়েছেন তিনি। গত সাড়ে চার বছরে ঢাকা শহরের ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে দাবি করে মেয়র বলেন, আমি অনেক কাজ করেছি। কিছু কাজ বাকি আছে। আমি যেনো বাকি কাজ শেষ করে যেতে পারি। খোকন বলেন, আজকে ঢাকাবাসীর কাছে দোয়া চাই, আমি কখনো কর্তব্যে অবহেলা করিনি। আজকে কঠিন সময়ে দেশের মানুষ যদি আমার পাশে দাঁড়ায়, তাহলে ইনশাল্লাহ আগামী ৫ বছর আমি আপনাদের পাশে থাকবো।
বিএনপি: মেয়র পদে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হতে ফরম কিনেছেন তিনজন। এর মধ্যে উত্তরে বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান রিপর এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে ও নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল। এর মধ্যে তাবিথ আউয়াল ২০১৫ সালের উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন। অন্যদিকে দক্ষিণে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী হতে একজনই দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তিনি হলেন- অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ মেয়র, রণাঙ্গণের গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছ থেকে তারা ফরম সংগ্রহ করেন। বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা আজ বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। ২৮ ডিসেম্বর গুলশান কার্যালয়ে বিকালে দলের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দুই মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত হবে।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে দক্ষিণের প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেন, আমার যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি-এটা বৃহত্তর আন্দোলনের অংশগ্রহণ হিসেবে। আজকে জনগণের অধিকার জনগণের কাছে নেই, জনগণের সরকার নেই। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোটের অধিকার ফিরে পাবার জন্য, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্ত করার জন্য এবং বাংলাদেশে ক্ষমতার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি থাকবে যে, তাদের যে সাংবিধানিক অধিকার দেয়া হয়েছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের করার উনারা যাতে সেই পবিত্র দায়িত্বটা পালন করেন।
জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শতভাগ আশাবাদী, যদি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে আমরা ধানের শীষের প্রার্থী যারা আছি তারা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো।
উত্তরের প্রার্থী আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, এই নির্বাচন থেকে প্রত্যাশা করার কিছু নাই। দেশে অনেক আগে থেকে ভোট নির্বাসিত হয়ে গেছে, দেশে গণতন্ত্র নেই, ভোট নেই, সুষ্ঠুভাবে কোনা নির্বাচনও হয়নি, যা হয়েছে যোতচুরিভাবে নির্বাচন হয়েছে। এর পরে আমার পার্টি গণতন্ত্র রক্ষার নামে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি না এই নির্বাচনের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র রক্ষা হবে, গণতন্ত্র উদ্ধার হবে। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। জনগণকে সংগঠিত করা এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিকে তরান্বিত করার জন্য আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। কারণ একটি স্পেস আমরা ব্যবহার করতে চাই। অন্তত:পক্ষে নির্বাচনে যদি প্রার্থী হই ধানের শীষের ভোট দানের আহ্বানের সাথে সাথে নেত্রীর মুক্তির দাবিটা উচ্চকিত হবে- সেই লক্ষ্য থেকে আমি এই নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। শুধুমাত্র আমাদের নেত্রীর মুক্তির দাবিটি তুলে ধরার জন্য।
উত্তরের অপর প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, জাতির কল্যাণে কাজ করার জন্য জনগণের সকল অধিকার রক্ষা করার জন্য আমরা প্রতিদিন প্রস্তুত থাকি। সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা এই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছি। আমি আশা করি, এবার একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ আমরা পাব। যদি আমরা সেই সুযোগ পাই আশা করি আমরা জয়লাভ তো করবোই এবং তখন আসলে জনগণের কল্যাণে আমরা কাজ করার সুযোগ পাব।
কাউন্সিলর পদে আগ্রহী ১০৪২ জন: সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদের পাশপাশি উত্তর সিটির ৫৪টি কাউন্সিলর ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর এবং দক্ষিণ সিটির ৭৫টি কাউন্সিলর ও ২৫টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মেয়র পদের মতো কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হলেও দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীরা অন্যদের তুলনায় ভোটের মাঠে এগিয়ে থাকবেন। এজন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে মেয়রের মতো কাউন্সিলর পদেও চলছে তুমুল লড়াই। প্রতিটি ওয়ার্ডেই একই দলের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন ফরম কিনছেন দলীয় সমর্থনের আশায়। গতকাল পর্যন্ত কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হিসেবে দলীয় সমর্থন পেতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৮১৩ জন। অন্যদিকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে ফরম কিনেছেন ৪৪০জন। এর মধ্যে উত্তরের ৫৪টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৫৯ জন এবং ১৮টি সংরক্ষিত পদে মহিলা পদে ৩১জন। দক্ষিণে ৭৫টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বিএনপির মনোনয়ন কিনেছেন ২০০ জন এবং সংরক্ষিত ২৫টি পদে ৫০ জন মহিলা।
জাতীয় পার্টি: জাতীয় পার্টি থেকে দুই সিটিতে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে তিনজন দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। এর মধ্যে উত্তরে মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম এবং দক্ষিণে আলমগীর শিকদার লোটন ও হাজী সাইফুদ্দীন মিলন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুয়ায়ী আগামী ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর এই দুই সিটিতে নির্বাচন হবে। দলীয় প্রতীকের মেয়র নির্বাচন মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী হতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।