দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
উত্তরঃ (পূর্ব প্রকাশিতের পর) অজু ভঙ্গের কারণ ৭ টি: ১. পায়খানা-পেশাবের রাস্তা দিয়া কোন কিছু বাহির হওয়া। ২. মুখ ভরিয়া বমি হওয়া। ৩. শরীরের কোন জায়গা হইতে রক্ত, পুঁজ বা পানি বাহির হইয়া গড়াইয়া পড়া। ৪. থুথুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশী হওয়া। ৫. চিত বা কাত হইয়া হেলান দিয়া ঘুম যাওয়া। ৬. পাগল, মাতাল ও অচেতন হইলে। ৭. নামাযে উচ্চস্বরে হাসিলে।
গোসলের সুন্নত পদ্ধতি: প্রথমে উভয় হাতকে কব্জি পর্যন্ত ধুয়ে নেবেন। তারপর লজ্জাস্থান ধুয়ে নেবেন। হাত ও লজ্জাস্থানে নাপাকি থাক বা না থাক, সর্বাবস্থায় এ দু’অঙ্গকে সর্বপ্রথম ধুয়ে নেবেন। তারপর শরীরের কোনো স্থানে বীর্য বা অন্য কোনো নাপাকি থাকলে সেটা ধুয়ে নেবেন। তারপর সুন্নত অনুযায়ী অযু করবেন। যেখানে গোসল করছেন সেখানে যদি পানি জমে থাকে তাহলে পা ধুবেন না। গোসলের পর ধুয়ে নেবেন। অযু করার পর মাথার ওপর দিয়ে এমনভাবে পানি ঢালবেন যাতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পুরো শরীরে পানি পৌঁছে যায়। শরীরকে হাত দিয়ে মালিশ করবেন যাতে কোথাও শুকনা থেকে না যায়। কেননা চুল পরিমাণও যদি শুকনো থেকে যায়, গোসল হবে না। তারপর সেখান থেকে সরে গিয়ে পা ধুয়ে নেবেন। [বেহেশতী জেওর, ফতওয়ায়ে শামী, ১/১৫৭Ñ১৫৯]
ফায়দা: গোসল করার পর কাপড় দিয়ে শরীর মুছে ফেলার কথাও আছে আবার না মোছার কথাও আছে। এজন্য আপনি যেটাই করবেন, সুন্নতের নিয়ত করে করবেন। [নাসায়ী, ১/৩১, তিরমিযী, ১/১৮ ও ফতওয়ায়ে শামী, ১/৯৭]
গোসলে ৩ ফরয: পূর্বে গোসলের যে পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে, তা হল সুন্নত মুতাবেক গোসল করার পদ্ধতি। গোসলের মধ্যে কিছু বিষয় ফরয আছে যেগুলো ছাড়া গোসল সঠিক হয় না। এজন্য এগুলো জেনে রাখা খুবই প্রয়োজন। ১. ভালভাবে কুলি করা। যাতে পুরো মুখগহ্বরে পানি পৌঁছে যায়। [বেহেশতী জেওর, ১/৫৯ ও ফতওয়ায়ে শামী, ১/২৯২]। ২.নাকে পানি দেওয়া। নাকের নরম অংশ পর্যন্ত পানি পৌঁছানো। [সুনানুন নাসায়ী, ১/৫] । ৩. সমস্ত শরীর ধৌত করা। [হাশিয়াতুত তাহাবী আলা মারাকিয়িল ফালাহ]
আল্লাহ তাআলা সবাইকে রাসূরের সুন্নাত মোতাবেক আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।