ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক লোমহর্ষক জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক ও ধর্ষক শুভ মিয়া (১৮)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুর রাশিদ গতকাল দুপুরে আসামি শুভকে ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেনের আদালতে হাজির করেন। এ সময় শুভ বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
জানা যায়, ঘাতক শুভ গত শুক্রবার রাতে শিশুটিকে কৌশলে রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া মুসলিম নগর এলাকায় একটি হাউজিং প্রকল্পের নির্জন প্লটের ভেতর এনে ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় সে। পরের দিন দুপুরে অজ্ঞাত লাশ হিসেবে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন রাতেই এসআই সাক্রাতুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রাশিদ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সোমবার রাজধানীর পূর্ব রামপুরা এলাকা থেকে শুভকে গ্রেফতার করেন।
শুভ ওই এলাকার একটি ইন্টারনেট ও ডিশ অফিসের বিলম্যানের কাজ করতো। তার বাবার নাম মো. আলমগীর হোসেন চন্দন। বাড়ি নেত্রকোনা জেলার সদর থানার মহিষহাটি গ্রামে। নিহত শিশু রামপুরা মিসবাহুল জান্নাত মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার বাবার নাম মো. রফিকুল ইসলাম। শিশুটি বাবা-মায়ের সাথে পূর্ব রামপুরার টিভি লিংক রোড এলাকায় সেলিমুজ্জামানের বাড়িতে ভাড়া থাকতো।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহজামান জানান, শিশুটি গত শুক্রবারে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ওইদিন রাতেই তার বাবা রামপুরা থানায় একটি জিডি করেন। মামলাটি আরো তদন্ত করা হবে।