Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিমে মোজাইক ভাইরাস

ইমাম হোসেন, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

মীরসরাইয়ে শীতকালিন সবজি শিমে মোজাইক ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়ছে কৃষক। ফলে তারা প্রত্যাশিত ফলন ঘরে উঠাতে না পারার দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। উপজেলায় কমবেশি এ রোগের আক্রমণ হলেও ব্যাপক হারে শিমে ভাইরাসজনিত এই মোজাইক রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে।
সরজমিনে মীরসরাই উপজেলার করেরহাট, মিঠাছড়া, নিজামপুর, বড়তাকিয়া, কমলদহ, আবু তোরাব, মঘাদিয়া এলাকায়, এই রোগের আক্রমণ প্রকৌপ। এ রোগের প্রাদুর্ভাবে শিম গাছ মারা গেছে অনেক কৃষকের। নানা জাতের ওষুধ ছিটিয়েও কোনো উপকার পাচ্ছে না কৃষকরা।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের একজন মোশারফ মিয়া বলেন, প্রতিবছর রবিশস্য হিসেবে মাঠে শিম, বরবটি, শসা, লাউ, বেগুন টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেন। বিশেষ করে শীতকালীন সবজি শিমের চাষ বেশি করেন তিনি। ফলনও ভালো হয়। কিন্তু এ বছর মোজাইক ভাইরাস রোগের আক্রমণে তার বেশির ভাগ শিম গাছ মারা গেছে। কয়েকটি গাছে ফুল দিলেও গাছ মারা যায়। তিনি আরও জানান, গত বছর তার ক্ষেত থেকে প্রতিদিন ১৫-২০ কেজি করে শিম গাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু এ বছর শিমের পাতা হলুদ হয়ে গাছগুলো ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছে। এ রকম রোগে শিম নষ্ট হয়েছে একই এলাকার মোস্তাফা ও নশা মিয়া, সজল দেবনাথসহ আরো অনেকের।
এ বিষয়ে কৃষি বিভাগের পরামর্শ হলো শিমের পাতার হলুদ রোগ বা মোজাইক রোগ দমনে ইমিডাসেল ২০ এসএল (ইমিডাক্লোরোপ্রিড গ্রুপের), অথবা রিফা ৫৫ইসি (ক্লোরোপাইরিফস+ সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের) জাতীয় কীটনাশক, শিম ও বরবটিতে জাবপোকা বা ছাইপোকা দমনে পিলারম্যাক্স ৪০ ইসি (ডাইমেথয়েট গ্রুপের) কীটনাশক ব্যবহার করলে এ রোগগুলো দমন সম্ভব বলে জানায় কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর।
মীরসরাই উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামসুল আলম বলেন, অতিরিক্ত শীতে সাধারণত শিম গাছ আক্রান্ত হয়ে থাকে। ভাইরাসজনিত মোজাইক রোগ শিমের মারাত্মক ক্ষতি করে। বিশেষ করে এ সময় শিমে জাবপোকার আক্রমণ বেড়ে যায়। তার মধ্যে শিমের পাতার হলুদ রোগ বা মোজাইক রোগ। শিম ও বরবটিতে জাবপোকা বা ছাইপোকা, পঁচা রোগ বা মড়ক, লাউ, কুমড়া ও মিষ্টি লাউয়ে মাছি পোকার আক্রমণ। এ নিয়ে আমরা কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে রোগ দমন করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। এ রোগ দমনে নিয়মিত কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। বাকি রোগগুলো দমনে পটাশ সার ব্যবহার করা যেতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ