পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছাত্রদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নামধারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় নুরসহ অর্ধশতাধিক ছাত্র আহত হয়েছেন। এমন হামলা অকল্পনীয় ও লজ্জাকর। ছাত্রদের ওপর এ ধরনের হামলা পূর্বপরিকল্পিত।
গতকাল দুপুরে মতিঝিলে নিজ চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। ড. কামাল বলেন, বাতি নিভিয়ে দরজাবন্ধ করে যে বর্ব্বর হামলা হয়েছে তাতে ছাত্ররা মারা যেতে পারতো। আহত অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই আমরা।
এ ঘটনায় ঐক্যফ্রন্ট তদন্ত কমিটি চায় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। সংবিধানে বলা আছে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। এটা জনগণের দাবি হিসেবে গণ্য করা হয়।
ডাকসুর হামলায় জড়িতদের বিচার করা হবে-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তেব্যের প্রসঙ্গে ড. কামাল বলেন, তিনি কি নিজের বিচার শুরু করবেন? নিজেকে আসামি ঘোষণা করে বিচার করলে তখন একটা কথা হবে।
গণফোরাম সভাপতি বলেন, আমি মনে করি, এই বছরটা খুব জঘন্যভাবে শেষ হচ্ছে। নতুন বছরে সবাই মিলে বৃহত্তর ঐক্যকে সুসংহত ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশকে বাঁচানোর জন্য যা করা দরকার তা তা করবো। ভোট ডাকাত সরকার বিরুদ্ধে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো। ড. কামাল বলেন, সামনে সিটি করপোরেশন (ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন) নির্বাচন আছে। কালো দিবস (৫ জানুয়ারি) আছে। আমরা অবিলম্বে একটি মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেব। ওই সময় আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে।
তিনি বলেন, ভোট ডাকাত সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য একের পর এক ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ওপর পৈশাচিক ঘটনা ঘটাচ্ছে। এই গণবিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকারে হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য দলমত নির্বিশেষে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিকষ্ঠা করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, যে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নাম দিয়ে নুরের উপর হামলা করা হয়েছে ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাদের বাবারও জন্ম হয়নি। কিসের মুক্তিযুদ্ধের মঞ্চ? ছাত্রলীগরা এই হামলা করেছে। নির্দলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের দাবিকে আমরা সমর্থন জানাচ্ছি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম অধ্যাপক আবু সাঈদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।