Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খোলা বাজারে কেনা যাবে গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

এখন থেকে আবাসিক গ্রাহক নিজেই গ্যাস ব্যবহারের প্রি-পেইড মিটার কিনতে ও স্থাপন করতে পারবেন। এ সংক্রান্ত নতুন নীতিমালার গেজেট প্রকাশ করেছে জ্বালানি বিভাগ। এর মাধ্যমে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের দায়িত্ব গ্রাহকের কাঁধে চাপল। যদিও এখনও বাজারে গ্যাসের কোনো প্রি-পেইড মিটার পাওয়া যায় না। সারাদেশে গৃহস্থালিতে গ্যাস সংযোগের সংখ্যা ৪৩ লাখ। গত ১৪ বছরে দু’টি বিতরণ কোম্পানি দুই লাখ ৭৫ হাজার প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করেছে। বিতরণ কোম্পানির এই ব্যর্থতার মধ্যেই খোলাবাজার থেকে প্রি-পেইড মিটার ক্রয় এবং সংযুক্ত করার নতুন নীতিমালা জারি হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে হাইড্রোকার্বন ইউনিট রাজধানীর কাওরান বাজারে পেট্রো সেন্টারে গ্যাসে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন নিয়ে এক সেমিনারের আয়োজন করে। ওই সেমিনারে বলা হয়, উদ্যোক্তরা মিটার আমদানি করে বা তৈরি করে খোলা বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। আগে শুধু বিতরণ কোম্পানিগুলোই গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করতে পারত। শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত ইভিসি মিটারও ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে আমদানি করে বিতরণ কোম্পানির মাধ্যমে লাগাতে পারবেন। সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার যেহেতু নতুন করে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে তাই আবাসিকে নতুন প্রি-পেইড মিটারের চাহিদা ৪০ লাখের মধ্যেই সীমিত থাকবে। এই পরিস্থিতিতে কোনো উদ্যোক্তা দেশে গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার তৈরির কারখানা স্থাপনে সম্মত হবে কি-না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আমদানির মাধ্যমে এই চাহিদা পূরণ হতে পারে।

সেমিনারে বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) প্রতিনিধির প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, প্রি-পেইড মিটার তৈরির কারখানায় কেবল গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার তৈরি হয় না। সেখানে আরো নানা ধরনের মিটার তৈরি করা যেতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করা- যাতে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনে গতি আসে। এর মাধ্যমে শুধু গ্রাহক ব্যবহার অনুযায়ী বিল পরিশোধ করবে না, বরং গ্যাসের ব্যবহার নিরাপদ হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক বাসায় গ্যাসের রাইজার থেকে চুলা পর্যন্ত লাইনে ছিদ্র রয়েছে। গ্রাহকের নিজ দায়িত্বে এসব ঠিক করে নেয়া উচিত। একজন গ্রাহক সাধারণত ৪০ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করলেও তার বিল হিসাব করা হয় ৮৮ ঘনমিটার ব্যবহার ধরে। এক্ষেত্রে কোনো গ্রাহক বেশি গ্যাস ব্যবহার করে কম বিল দেয় আবার কোনো গ্রাহক কম গ্যাস ব্যবহার করে বেশি বিল দেয়। দুই চুলার একজন গ্রাহক প্রতিমাসে এখন ৯৭৫ টাকা বিল দিয়ে থাকে। কিন্তু এর বিপরীতে প্রি-পেইড মিটার যারা স্থাপন করেছেন তাদের বেশির ভাগের বিল আসছে সর্বোচ্চ ৪৫০ টাকা। ফলে গ্রাহক প্রতিমাসে ৪৭৫ টাকা প্রি-পেইড মিটারে সাশ্রয় করতে পারেন।
সেমিনারে জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, আমরা উদ্যোক্তাদের প্রি-পেইড মিটার আমদানি বা তৈরির জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। তারা আমদানি করবেন এবং দামও তারাই ঠিক করবেন। গ্রাহক বাজার থেকে মিটার কিনে আমাদের ল্যাবে পরীক্ষা করে সংযুক্ত করবেন। সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানির স্বীকার না হয়, এজন্য নীতিমালাতে একটি সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

সেমিনারে নীতিমালাটি উপস্থাপন করেন- জ্বালানি বিভাগের যুগ্ম সচিব সানাউল হক। তিনি বলেন, নীতিমালায় প্রি-পেইড মিটারের মান উল্লেখ করা হয়েছে। আমদানিকারক সেই মানের মিটার আমদানি করবেন। মিটার আমদানির আগে পেট্রো বাংলার কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। গ্রাহক বাজার থেকে মিটার কেনার পর তা বিতরণ কোম্পানির ল্যাবে পরীক্ষা করে সংযোজন করবেন। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক এ এস এম মঞ্জুরুল কাদির, পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।



 

Show all comments
  • 6, North South Road,Dhaka-1000. ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১১:৫০ এএম says : 0
    সব খায় চোরে এতকিছু হবে কি করে?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ