পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় পার্টি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে আমরা মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা করে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্ন পূরণ করবে। এ জন্য জাতীয় পার্টি যাতে আগামী নির্বাচনে দেশের দায়িত্ব নিতে পারে সেজন্য দেশের ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের।
তিনি বলেন, নবম সংসদে সংবিধানের অনেক সংশোধন হয়েছে কিন্তু রাষ্ট্রধর্ম বিষয়ে কোন সংশোধনী বা পরিবর্তন আনা হয়নি। যারা অন্যায় ও অবিচার করে তারাই ইসলাম ও মুসলিমদের ভয় করে। তাই বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলামদের ওপর আঘাত আসছে।
আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) গুলশানের ইমানুয়েলস্ মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা পার্টির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় জাপা প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদে শাসনামলের নানা কর্মকান্ড তুলে ধরে জিএম কাদের বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করে সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের নব্বই ভাগ মানুষের মনের আশা পূরণ করেছেন। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করে পল্লীবন্ধু দেশের সকল ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। সংবিধানে যেভাবে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয়েছে- তা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থার সাথে সাংঘার্ষিক নয়। পল্লীবন্ধু মসজিদের উন্নয়নে যেমন বরাদ্দ দিয়েছেন, তেমনিভাবে মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডা-তেও বরাদ্দ দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানটিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি। জাতীয় ওলামা পার্টির আহবায়ক ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাওলানা মোহাম্মদ খলিলুর রহমান সিদ্দিকীর পরিচালনায় সম্মেলনে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস.এম. ফয়সল চিশতী, ওলামা পার্টির মাওলানা সাইখুল হাদিস, ড. আবুল কাইয়ুম আজাহারী, মাওলানা মোহাম্মদ এবিএম মোস্তফা কামাল চৌধুরী, মাওলানা মোহাম্মদ মুফতি মাহমুদি, মাওলানা মোহাম্মদ শফিউল্লাহ জিহাদী, মাওলানা ক্বারী মোহাম্মদ আজিজুল হক সরকার, মাওলানা মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, আলমগীর সিকদার লোটন, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নোমান, এ্যাড. নুরুল আজহার, ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সুলতান আহমেদ সেলিম, কেন্দ্রীয় নেতা ফখরুল আহসান শাহজাদা, মোস্তাফিজুর রহমান নাইম, এম.এম. রাজ্জাক খান, এ্যাড. আবু তৈয়ব, প্রিন্সিপাল গোলাম মোস্তফা, এবং ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।