Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করতোয়ায় উচ্ছেদ অভিযান কাল বগুড়ায় আবারও অধরাই থাকছে প্রভাবশালী দখলদাররা

বগুড়া ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

সারাদেশে একযোগে দেশের সকল নদ/নদী জলাশয় থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে বগুড়াতেও কাল ২৩ ডিসেম্বর করতোয়া নদীতে শুরু হবে উচ্ছেদ কার্যক্রম। তবে বরাবরের মত এবারও এনজিও সংস্থা টিএমএসএসসহ ক্ষমতাধর নদী দখলদাররা অধরাই থেকে যাবে। ওইদিন উচ্ছেদ হবে তুলনামূলভাবে দুর্বল দখলদারদের ১৬টি অবস্থান। আর আদালতে মামলা থাকার অজুহাতে উচ্ছেদ হবেনা টিএমএসএসসহ অপর ১৬ প্রতিষ্ঠান ।
উচ্ছেদ অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে নদীরক্ষা কমিশনের বগুড়া শাখা সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন, পুর্বঘোষিত শিডিউল অনুযায়ি জাতীয়ভাবেই ২৩ ডিসেম্বর একযোগে অভিযান চলবে। তবে অভিযানের আগে এ ব্যাপারে বগুড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিবেশ আন্দোলন, নদীরক্ষা কমিশনসহ স্থানীয় সুশীল সমাজ নিয়ে একটি প্রস্তুতি সভা হলে ভাল হত । তিনি বলেন, মাঝে মাত্র ১দিন আর কবে সভা হবে । মনে হচ্ছে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড নিজের মতো করে উচ্ছেদ চালাবে। তিনিসহ নদীরক্ষা আন্দোলনে যুক্ত বেশ কয়েকজন ইনকিলাবকে বলেন, তাদের আশঙ্কা যে উচ্ছেদ হবে তা’ জনপ্রত্যাশার বিপরিত । নদী বাঁচানোর উদ্দেশ্যেই উচ্ছেদ অভিযান হলেও বাস্তবে করতোয়াকে মেরেই ফেলা হচ্ছে ! বগুড়ায় সদ্য যোগদানকারি এসিল্যান্ড আমির হামজা বলেন, ২৩ তারিখে করতোয়া নদী থেকে ১৬ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
অনুরুপ তথ্য জানিয়ে এডিসি (রেভিনিউ ) আব্দুল মালেক বলেন, করতোয়ায় অবৈধ দখলদার চিহ্নিত হয়েছে ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। আদালতে মামলা থাকায় একটি মসজিদ ও টিএমএসএসসহ ১৬ প্রতিষ্ঠানকে আপাতত উচ্ছেদের বাইরে রাখতে হয়েছে । তবে মামলা নিষ্পত্তি হলে পর্যায়ক্রমে বাকি অবৈধ দখলদারও উচ্ছেদ হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য ২০১৫ ও ২০১৮ সালের হাইকোর্টের পৃথক দুটি নির্দেশনা এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বগুড়ায় করতোয়া নদীতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে টিএমএসএসের পক্ষে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালদে বাদি হয়ে মিনতী আকতার বানু বগুড়ার ডিসি, এডিসি (রেভিনিউ), উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এসিল্যান্ড এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিবাদি করে মামলা করা হলে উচ্ছেদ অভিযান থেমে যায়। এ ঘটনার পরপরই হঠাৎ বদলি হয়ে যান এসিল্যান্ড এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ