পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্ম যার যার উৎসব সবার যারা বলে তারা মুসলমানের মধ্যে নেই। তাদের তওবা করে পুনরায় ঈমান আনতে হবে। ভারতীয় উপমহাদেশ মুসলমানরাই আবাদ করেছে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে ওলামায়ে দেওবন্দ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে বলেই ভারত স্বাধীন হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে ফটিকছড়ির ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাঙ্গন নানুপুর জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়ার ৬২তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারতে হিন্দুত্ববাদের হোতা নরেন্দ্র মোদি তথাকথিত এনআরসি আইন তৈরী করে ভারতবর্ষ থেকে মুসলমানদের বিতাড়িত করতে চায়। এটা আমরা কোনভাবেই মানতে পারি না। মুসলমানদের নির্মূলে তৈরী এই কালো আইন এনআরসি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। নইলে পুরো ভারতবর্ষ এবং পার্শ্ববর্তী মুসলিম দেশের কোটি কোটি জনতা ভারত অভিমূখে লংমার্চ শুরু করবে। তখন সামাল দেয়া সম্ভব হবে না।
জামিয়ার মুহতামিম আল্লামা মুহাম্মদ ছালাহ উদ্দীন নানুপুরীর সভাপতিত্বে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবারে অনুষ্ঠিত দু’দিন ব্যাপী এ মহাসম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার মুহতামিম আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারী, জামিয়া বাবুনগরের শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতি মাহমুদ হাসান ভূজপুরী, প্রখ্যাত ওয়ায়েজিন আল্লামা মাহমুদুল হাসান মমতাজী, আল্লামা আজিজুল হক আল-মাদানী, অধ্যাপক ড. আ.ফ.ম খালেদ হোসাইন, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ।
মুফতি শওকত বিন হানিফ ও অধ্যাপক মানফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা মঈনুদ্দিন নিচিন্তাপুরী, মাওলানা বেলাল উদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা শিহাবুদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা কুতুব উদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা আব্দুল মতিন, মাওলানা মোজাহেরুল ইসলাম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।