পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
কমেছে সবজির দাম। সবজি প্রতি কেজিতে দাম কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা। বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম। সবজির দাম কমলেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতিকেজি মাছের দাম ১০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে গোশত, ডিম, ডাল, চাল, চিনি ও ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এরকম চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে নতুন পেঁয়াজের প্রভাবে দাম কমে অর্ধেকে নামলেও আবার বেড়েছে। বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। আমদানি করা ছোট পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের পাশাপাশি বাজারে আসা নতুন দেশি পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। দেশি নতুন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম আবার বেড়েছে। গত সপ্তাহে নতুন পেঁয়াজের কেজি ৬০ টাকা বিক্রি করা হতো। আজ তা ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন পেঁয়াজ কম আসছে, এ কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে সামনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে পেঁয়াজের দাম শিগগিরই কমে যাবে।
শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। এরমধ্যে সব থেকে বেশি দাম কমেছে শিম, পাকা টমেটো ও গাজরের। কিছুদিন আগেও একশ’ টাকার ওপরে কেজি বিক্রি হওয়া এ সবজিগুলো এখন অনেকটাই সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে।
রামপুরা, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, মগবাজার, খিলগাঁও, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি বাজার ও ফকিরাপুল কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি পেঁপে ১৫ থেকে ৩০ টাকা, গাজর ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, পাকা টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা, কালো শিম ৫০ টাকা, সাদা শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ক্ষীরা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙা ও ধুন্দল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, উস্তা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা, নতুন আলু ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, পুরাতন আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, আকারভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৪০ টাকা এবং লাউ ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কচু শাক ৫ টাকা, লাল শাক ৮ থেকে ১০ টাকা, পালং শাক ৮ থেকে ১৫ টাকা, প্রতি আঁটি মুলা শাক ৮ থেকে ১০ টাকা, পুঁই শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা এবং লাউ শাক ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতিকেজি পাঙ্গাস ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ২০০ টাকা, কৈ মাছ ১৯০ থেকে ২২০ টাকা, কাতল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, রুই মাছ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, কাচকি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, মলা ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, শিং ৩৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, ছোট তাজা পুঁটি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৫৫০ থেকে ৯০০ টাকা এবং এক কেজি সাইজের প্রতিটি ইলিশ ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকা, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৯০০ থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা ও ছোট সাইজের প্রতিকেজি ইলিশ ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কিন্তু গোশতের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে মুরগির বাজারেও দাম বেড়েছে। প্রতিকেজি বয়লার মুরগি ১৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, লেয়ার ২০০ থেকে ২২০ টাকা ও সোনালি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিকেজি গরুর গোশত ৫৫০ টাকা ও খাসি ৭৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ডিম, ডাল, চাল, চিনি, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।