পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
কয়েক বছর ধরেই ই-নথি কাযর্ক্রমে সফলতা দেখিয়ে আসছে অর্থ মন্ত্রণালযয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। এবারও সবার শীর্ষে রয়েছে ইআরডি। উন্নয়ন সহযোগিদের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ রক্ষার্থে সব কিছুই ই-নথিতে হচ্ছে ইআরডিতে। যে কারণে সকল কার্যক্রম সব সময় সচল রাখছে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাটি। বড় ক্যাটাগরির ৮টি বিভাগের মধ্যে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ই-নথি কার্যক্রমের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ইআরডি।
নভেম্বর মাসে ইআরডি’র হাতে ৩ হাজার ৮৬১টি ডাক আসে। এসব ডাক স্ক্যান করে অনলাইনে নিয়ে এসে নিষ্পত্তি করা হয়। এরমধ্যে ৩ হাজার ৭১৭টি ডাক ই নথির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করেছে ইআরডি। এছাড়া এরমধ্যে স্ব-উদ্যোগে ই নথি হয়েছে ৯৪২টি। ই-নথির মাধ্যমে ৯৩৮টি পত্র জারি করেছে ইআরডি। কাজের গতি বাড়াতে এবং আমলান্ত্রিক জটিলতা দূর করতে সকল হার্ড কপিও স্ক্যান করে অনলাইনে নিয়ে এসেছে ইআরডি। যে কারণে ইআরডির কোন কর্মকর্তা অফিসে না থাকলেও কাজ থেমে থাকে না। যে কোন সিদ্ধান্ত দেশের বাইরে বসেও অ্যাপস ও ইমেল ব্যবহার করে নিষ্পত্বি করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ই-নথি প্রসঙ্গে ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরাও কাজ করছি। সাধারণ জনগণও ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছেন। আমাদের অফিসের সকল ডাক স্ক্যান করে অনলাইনে নিয়ে আসা হয়। পরে ই-নথির মাধ্যকে নিষ্পত্তি করা হয়। কোনো কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ কাজে অফিসের বাইরে থাকলেও কাজ থেমে থাকে না। সব কিছুই অনলাইনে হয়ে যাচ্ছে। যে কোনো অফিসিয়াল সিদ্ধান্তও আমরা ই নথির মাধ্যমে নিয়ে থাকি। এছাড়াও আমরা কয়েক বছর ধরেই ই-নথিতে ভালো করছি। আশা করছি সরকারের ঘোষিত লক্ষ্য ২০২১ সালের আগেই ইআরডি পেপারলেস হবে। অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে ইআরডির সকল দাফতরিক কাক করবো বলে আশা করছি।
মনোয়ার আহমেদ বলেন, সামনে ই নথি কার্যক্রম আরও বাড়বে। অনলাইনে নথি আদান-প্রদান একদিকে যেমন সময় সাশ্রয়ী তেমনি লাল ফিতার কোনো দৌরাত্মও নেই। দ্রুত সময়ে আমরা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম নিষ্পত্তি করতে পারি। সরকারি কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গে দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি করতে ই-ফাইলিংয়ের কোনো বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ই-নথি বা ই-ফাইলিং ডিজিটাল বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি কার্যক্রমকে আরও সহজতর করার একটি সফটওয়্যার সিস্টেম। এর মাধ্যমে সরকারি দফতরের সব কাজ অনলাইনভিত্তিক করা হয়।
এখন সব ধরনের দাফতরিক কাজ অনলাইনে করা হচ্ছে যেমন- বেতন, বিল, বাজেট প্রণয়ন এবং চিঠিপত্র ব্যবস্থাপনা। ডাকের পরিবর্তে এখন অনলাইনে এসব কার্যক্রম দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি হচ্ছে। এ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অফিসে উপস্থিত না হয়েও দাফতরিক কাজ মোবাইলের মাধ্যমে ই-নথি অ্যাপ ব্যবহার করে করা যায়। তবে এ ব্যবস্থাপনায় এখনও অনেক মন্ত্রণালয় উদাসীন আবার অনেক মন্ত্রণালয়-বিভাগে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। ইআরডি’তে ব্যপক সাড়া পড়লেও উদাসীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নভেম্বর মাসে এই মন্ত্রণালয়ে ৪৬৩টি ডাক আসলেও একটি ডাকও ই নথি করা হয়নি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ই-ফাইলিং কার্যক্রমকে তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বর মাসের ই-নথি কার্যক্রমে বড় ক্যাটাগরিতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), মধ্যম ক্যাটাগরিতে শীর্ষ স্থান দখল করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। এছাড়া ছোট ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়। দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদন ই-নথির মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়।
মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে এ হিসাব করা হয়। প্রথম ক্যাটাগরিতে সাতটি, দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে ১৪টি এবং তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ৩৭টি বিভাগ ও মন্ত্রণালয় রয়েছে। বর্তমান সরকার ই-ফাইলিংয়ে জোর দিয়েছে। এখন অধিকাংশ টেন্ডারও ই-ফাইলিংয়ের আওতায় চলে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।