পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জামিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেছেন, দেশ বরেণ্য আলেমেদ্বীন অধ্যক্ষ আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শামছুল হক তাছাওফের শিক্ষক ছিলেন যার কোন লোভ, রাজনৈতিক চিন্তা, স্বার্থের চিন্তা ছিলনা। সর্বদাই তিনি মানুষের কল্যাণে, দ্বীনের পথের নির্দেশনা দানে ব্যস্ত সময় পার করতেন। আমার পিতা মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর অত্যন্ত কাছে ও আস্থাভাজন মানুষ ছিলেন তিনি। হযরত মাওলানা শামছুল হকের জীবনাদর্শের উপর বিশেষ আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় মহাখালীস্থ মসজিদে গাউছুল আজম কমপ্লেক্সে বাদ মাগরীব এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, মাওলানা শামছুল হক সাহেবের কাছে যেকোন সমস্যা নিয়ে গেলে তিনি অত্যন্ত সাবলিল ও হাসিমুখে তা সমাধানের পথ বলে দিতেন। আমার নিজের দেখা এতবড় আলেম ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তি দেশে খুব কমই আছে। শুধু আমাদের দেশেই নয় সারা বিশ্বেই এখন ভোগবাদী আলেমদের ছড়াছড়ি। যখন সবাই নিজ নিজ আখের ঘুচাতে ব্যস্ত ঠিক সেই সময়ে একজন স্বার্থত্যাগী ও মানব কল্যাণে আত্মনিয়োগকারী ব্যাক্তি ছিলেন তিনি।
ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাবেক সহ-সভাপতি, গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদের সম্মানীত সাবেক খতিব ও ইমাম, উত্তর বাড্ডা ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ, শামছাবাদ দরবার শরীফ গজীপুর এর পীর সাহেব তিনি। চাইলেই তিনি সম্পদের পাহাড় গড়তে পারতেন, পারতেন দেশের ধনী ব্যাক্তিদের তালিকায় নিজের নাম লেখাতে, কিন্তু তিনি তা করেননি বরং যা আয় করেছেন তার সিংহ ভাগই দান করে দিয়েছেন। বর্তমানে সারা দেশের আলেম ও ওয়াজিনদের মধ্যেই নিজেকে সোস্যাল মিডিয়া তথা ফেইসবুক ইউটিউবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রবনতা দেখা যায় কিন্ত আজ পর্যন্ত আমি তার ভিতরে তেমন কোন আগ্রহ দেখিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যদি মাওলানা শামছুল হক সাহেবে মত আলেম ও হক্কানী পীর থাকতো তাহলে হয়তো দেশের এতটা সংকট ও অন্যায় থাকতো না। দেশের মধ্যে আল্লাহর রহমত বিরাজ করত। সর্বত্রই এখন অশান্তি ও উসৃংখলতা বিরাজ করছে, আমাদের মোবাইল ফোনে যতগুলো না কোরআনের আয়াত রয়েছে তার থেকে বেশী অশ্লিল ডকুমেন্টারী থাকে। যার ফল আমরা আমাদের বাস্তব জীবনে ভোগ করছি।
ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন জামিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব ও শ্রীপুর ভাংনাহাটি রহমানিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী। ওয়াজ ও আলোচনা পেশ করবেন, আলহাজ্ব মাওলানা কবি রূহুল আমীন খান- সিনিয়ার সহ-সভাপতি বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ও নির্বাহী সম্পাদক দৈনিক ইনকিলাব, আলহাজ্ব মাওলানা ইউনুস আল-আযহারী- সাবেক প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মহাখালী হোসাইনিয়া কামিল মাদরাসা, মাওলানা নূরুল আমীন আতেকী- খতিব মিরপুর আন্নূরী জামে মসজিদ, মাওলানা আব্দুল বাতেন- সাবেক জমিয়াত ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য, মাওলানা আব্দুর রহমান বেলাসী- সাবেক জমিয়াত স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন মোল্লাহ্- অধ্যক্ষ উত্তর বাড্ডা ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা, মাওলানা ইসাম উদ্দীন আত্তারী, মাওলানা এজহারুল হক- অধ্যক্ষ মোহাম্মাদপুর গাউছিয়া কামিল মাদরাসা, ড. মাওলানা নজরুল ইসলাম আল মারুফ- অধ্যক্ষ মহাখালী হোসাইনিয়া কামিল মাদরাসা। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মরহুম হযরত মাওলানা শামছুল হক (রহ.) সাহেবের মুরিদান, ভক্ত, আাশেকীনগণ মহতী মাহফিলে অংশ নেন। সবশেষে মরহুম পীর ছাহেব কেবলার বড় ছাহেবজাদা মহাখালী হোসাইনিয়া কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস ও পূর্ব রাজাবাজার জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা মাহবুবুর রহমান মরহুমের আত্মার মাগফিরাতে ও দেশের সার্বিক কল্যাণে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।