বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে আজ শুক্রবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা নেতাকর্মীদের ঢল এখন সম্মেলনস্থল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। এরই মধ্যে সম্মেলনস্থলে প্রবেশের জন্য ৫ টি গেটে এর মধ্যে ৪ টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে। ১ টি গেট ভিআইপিদের জন্য রাখা হয়েছে। এ ৪টি প্রবেশ পথ দিয়ে এরই মধ্যে নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন।
যেকোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে প্রবেশ পথ গুলোতে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা ও তল্লাশি চৌকি। সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করা প্রত্যেককেই এ নিরাপত্তা ও তল্লাশি চৌকি পার করে ভিতরে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
বিকেল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে আওয়ামী লীগের বর্ণাঢ্য সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ, আলোকসজ্জায় ঝলমল করছে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সম্মেলনে সারাদেশ থেকে প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর এবং ১৫ হাজার ডেলিগেটসহ ৫০ হাজার নেতাকর্মী ও আমন্ত্রিত অতিথি অংশ নেবেন।
৮১ সদস্যের মধ্যে চারটি পদ শূন্য থাকায় মূল মঞ্চে চেয়ার থাকছে ৭৭টি। মঞ্চের সামনে নেতাকর্মীদের জন্য চেয়ার থাকবে ৩০ হাজার। এছাড়া সম্প্রসারিত মঞ্চে ১৫ হাজার চেয়ার দেওয়া হবে। ২৮টি এলইডি পর্দায় দেখানো হবে সম্মেলনের পুরো অনুষ্ঠান।
আওয়ামী লীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিভিন্ন নিদর্শন নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজির হয়েছে আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)।
স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামী লীগের দীর্ঘ পথ চলার বিভিন্ন ইতিহাসের ওপর ভিত্তি করে ১০টি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করছে তারা। যা সম্মেলনের জৌলুস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এছাড়া ২১তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে ওয়েব পেজ উদ্বোধন করেছে প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটি। ওয়েব পেজের ভিডিও অংশে সম্মেলন লাইভ দেখানো হবে।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেনে জন্ম আওয়ামী লীগের। এখন ঐতিহ্যবাহী এই দলটির বয়স ৬৭ বছর। এ পর্যন্ত দলটির ২০ টি জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে
শেখ হাসিনা সভাপতি ও
ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।