পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি চাকরিবিধি ভঙ্গের অপরাধে এবার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. কে এম মামুন মোর্শেদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব শারমিন আক্তার জাহান স্বাক্ষরিত এক স্বারকে এ নোটিশ প্রদান করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, আপনি (ডা. কে এম মামুন মোর্শেদ) গত ৫ নভেম্বর নিজ স্বাক্ষর ও উদ্যোগে নোটিশ জারির মাধ্যমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন পরিচালকের (ভারপ্রাপ্ত) এর বদলি আদেশের বিরুদ্ধে হাসপাতালের সব চিকিৎসক, কর্মকর্তা, সেবক/ সেবিকা ও কর্মচারীদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
ওই মতবিনিময় সভায় সরকারি আদেশের সমালোচনা ও বিষেদাগার করা হয়, যা সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা, ১৯৭৯ এর পরিপন্থী। এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর তিন (বি) বিধি মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমতাবস্থায়, আপনার এহেন কার্যকলাপের জন্য কেন আপনার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রেরণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর বেশি মূল্যে যন্ত্রপাতি ক্রয় করে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধনের প্রমাণ পাওয়ায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়াসহ তিন চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চিঠিতে বলা হয়, ওই তিন চিকিৎসক বিভিন্ন সরঞ্জামের মূল্য যাচাই না করে অতিরিক্ত বাজার দর নির্ধারণ করেছেন। এতে সরকারের ছয় কোটি ৪০ লাখ ৩১ হাজার ৮০০ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রাথমিক তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই ওই তিন চিকিৎসককে বিধি মোতাবেক অসদাচরণ ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) বিধি মোতাবেক তাদের কেনও যথোপযুক্ত দন্ড প্রদান করা হবে না সে বিষয়ে দশ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে অভিযুক্তরা ব্যক্তিগত শুনানি চায় কিনা তাও জানতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপর গত ৩ নভেম্বর ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়াকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে ডা. কে এম মামুন মোর্শেদকে পরিচালকের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব দেয়া হয়।
জানা গেছে, গত ৫ নভেম্বর ডা. মামুন মোর্শেদের নেতৃত্বে ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যা বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শুরু হয়ে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। হাসপাতালের প্রবেশপথ এবং দোতলায় দুটি বড় ডিসপ্লেতে এই বিদায়ী সভা প্রদর্শন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।