Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গৌরীপুর শহীদ সমাধির পাশে আবর্জনার ভাগাড়

বেগ ফারুক আহম্মেদ, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) থেকে | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ময়মনসিংহের গৌরীপুরের শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে মাঠের পাশে শহীদ সুধীর বড়ুয়ার সমাধিস্থল (স্মৃতিসৌধ) অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। সমাধির সীমানা ঘেঁষে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট ও অবৈধ স্থাপনা। স্থানীয়রা সমাধির আশপাশে মলমূত্র ত্যাগ ও ময়লা-আবর্জনা ফেলায় স্থানটি ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। শহীদ সুধীর বড়ূয়ার বাড়ি চট্টগ্রাম। তিনি তৎকালীন ইপিআরে চাকরি করতেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে নেত্রকোনা থেকে পাকিস্তানি বাহিনী ট্রেনযোগে পালিয়ে যাচ্ছিল। ওই সময় শ্যামগঞ্জে পাকিস্তানি বাহিনীর ব্রাশফায়ারে শহীদ হন সুধীর বড়ূয়া। পরে শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে মাঠের উত্তর পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। স্বাধীনতার পর শহীদ সুধীর বড়ূয়ার স্মৃতি রক্ষায় তাকে যেখানে সমাহিত করা হয়েছিল সেই জায়গায় স্মৃতিসৌধ গড়ে তোলা হয়। উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে মাঠের উত্তর পাশে লেভেল ক্রসিংয়ের পাশেই শহীদ সুধীর বড়ূয়ার স্মৃতিসৌধ। স্মৃতিসৌধের সীমানায় টানানো হয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতাদের ব্যানার, বিলবোর্ড ও প্যানাপ্লাক্স। প্রয়োজনীয় সংস্কার রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অরক্ষিত স্মৃতিসৌধের পাশে আগাছা জন্মে জঞ্জাল হয়েছে। স্মৃতিসৌধের সীমানা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট ও অবৈধ স্থাপনা। মানুষ যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করছে। স্মৃতিসৌধের পাশে একটি ডোবায় স্থানীয়দের ফেলা ময়লা-আবর্জনা জমে স্থানটি ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম বলেন, সরকারের কাছে আমাদের দাবি সুধীর বড়ূয়ার সমাধিস্থলের চারপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের পাশাপাশি আশপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জায়গাটির সৌন্দর্য বর্ধন করা হোক। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে এই শহীদের বীররে ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে স্মৃতিসৌধের পাশে নামফলক করে প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর বলেন, শহীদ সুধীর বড়ূয়ার স্মৃতিসৌধের বিষয়টি জানা ছিল না। সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এটি রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ