Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মীরসরাইয়ে সেতুবিহীন সড়কে চরম দুর্ভোগ

ইমাম হোসেন, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

মীরসরাইর উপজেলার মিঠাছরা বাজারের পশ্চিম পাশে সড়কবিহীন সেতুর কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দুই গ্রামের হাজারো বাসিন্দা। বিগত ১০ বছর ধরে সেতুগুলোতে সংযোগ সড়ক না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ পথচারীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। চলাচলের অনুপযোগী এ সেতু দুটির ১টি হলো উপজেলার ৯নং মীরসরাই সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের গড়িয়াইশ গ্রামের তসিমিজি সংযোগ সড়কের পূর্ব প্রান্তে অপরটি একই ইউনিয়নের একই এলাকার নিকুঞ্জ বিহারী সড়কের অবস্থিত। সেতুগুলো নির্মিত হয়েছিলো প্রায় পনেরো বছর আগে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গড়িয়াইশ গ্রামের তসিমিজি সংযোগ সড়ক সেতুটির পূর্ব পাশে সংযোগ সড়কের মাটি সরে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় লোকজন সেতু ও সড়কের সংযোগস্থলে কয়েকটি মাটি ভর্তি বস্তা দিয়েছে কোনো রকম চলাচল করার জন্য। কেউ কেউ ভারী জিনিস পত্র ভারী জিনিসপত্র নিয়ে বাধ্য হয়ে দূরের বিকল্প সড়ক দিয়ে চলাচল করছে।
এ সময় উপস্থিত গড়িয়াইশ গ্রামের বাসিন্দা সজল দেবনাথ (৩৮) জানান, গত ১০ বছর ধরে নিয়ে বাধ্য হয়ে সেতুটির সঙ্গে রাস্তার সংযোগ নেই। অনেক বয়স্ক মানুষের পক্ষে এ সেতু পার হওয়া অত্যন্ত কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ। এ সেতুর ওপর দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল সম্ভব নয়।
অপরদিকে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিকুঞ্জ বিহারী সড়কে সেতুটির বাঁশ দিয়ে তৈরি করে সড়কের কোনো মতে চলাচল করছে। এতে করে কোমলমতি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা অভিবাকদের হাত ধরে বাঁশের সাকো পার হতে দেখা যায়।
মোশারফ হোসেন (২৬) জানান, এ সড়কে বাঁধ দিয়ে কোনো মতে মানুষ পারাপার হতো। বর্তমানে বাঁশ দিয়ে কোনো মতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। চলাচল করা বিপজ্জনক।
এ বিষয়ে স্থানীয় ৪নং গড়িয়াশ ইউপি সদস্য শামসুল আলম বলেন, এ দুটি সেতু দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০০০ থেকে ২৫০০ মানুষ দুভোর্গ এর সহিদ যাতায়াত করে সেতু ২টি সংষ্কার অতি জরুরি।
এ বিষয়ে মীরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিন বলেন, এ দুটি সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক যাতায়াত করে। সেতু দুটি সংষ্কার ও নির্মাণ করা জন্য আমি টেন্ডারের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ