রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেলের গেস্ট রেজিস্ট্রার চেকিং এর নামে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে পর্যটকদের হয়রানী করার অভিযোগ করেছেন আবাসিক হোটেল মালিকরা। হোটেলের গেস্ট রেজিস্ট্রারে নাম দেখে রুমে গিয়ে এবং সেল ফোনে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে স্বামী স্ত্রী কিনা। কোনো সুনিদিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পুলিশের এমন আচরণে হতভম্ব পর্যটকরা। মহিপুর থানা পুলিশের এ ধরনের কর্মকান্ড বন্ধ না হলে কুয়াকাটা আবাসিক হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ হোটেল বন্ধ রেখে আন্দোলনে যাবার হুমকি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে মহিপুর থানা ওসি বলছেন, আবাসিক হোটেলগুলোর কর্তৃপক্ষ গেস্ট রাখার ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা করছিলো না। মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ রোধ এবং নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের দেয়া গেস্ট রেজিস্ট্রার প্রতিদিন চেকিং করা হচ্ছে। এতে কোনো পর্যটককে হয়রানী করা হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।
আবাসিক হোটেল আল মামুন এর ব্যবস্থাপক মো. রেজাউল জানান, গত ১৭ই ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে পুলিশ গেস্ট রেজিস্ট্রার নিয়ে যাবার সময় এএসআই মতিন রেজিস্ট্রারে থাকা পর্যটকদের রুম নম্বরে গিয়ে জিজ্ঞাসা করছেন তারা আসল স্বামী স্ত্রী নাকি নকল। এমন প্রশ্নে রুমে থাকা পর্যটক দম্পত্তিরা পুলিশি হয়রানীর ভয়ে রুম ছেড়ে চলে গেছেন। এমন অভিযোগ একাধিক হোটেল মালিকদের।
আবাসিক হোটেল সৈকতের ব্যবস্থাপক মো. সোহেল জানান, গত ১৬ই ডিসেম্বর ভিটালাক ডেইরি এন্ড কোম্পানীর ২৩ জনের ১টি গ্রæপ তার হোটেলে ১২টি রুম নেয়। তারা পরদিন ১৭ই ডিসেম্বর ভোর পাঁচটায় রুম ছেড়ে দিয়ে বরিশালে বিভাগীয় সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। বরিশালে গিয়ে জানান, রুমে একটি মানিব্যাগ ফেলে রেখে গেছেন। এ ব্যাগে নগত ৫ হাজার টাকা ও মূল্যবান কিছু কাগজপত্র রয়েছে। এমন মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে মহিপুর থানার ওসিসহ কয়েকজন পুলিশ তাদের হোটেল রুমে তল্লাসি চালায়। ওই সময়ে রুমে অন্য গেস্ট অবস্থান করছিলো। পরে রুমের দ্বায়িত্বে থাকা হোটেল বয় ও সিকিউরিটি গার্ডকে থানায় নিয়ে যায়। পরে আবার ছেড়ে দেয়া হয়।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, পুলিশ হোটেলে গিয়ে চেকিং এর নামে পর্যটকদের হয়রানী করছে। সুর্নিদৃষ্ট কোনো প্রমাণ ছাড়াই মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে স্টাফদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। মালিকদের হয়রানী করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কুয়াকাটায় কোনো পর্যটক আসবেন না। তাদের পক্ষেও ব্যবসা করা সম্ভব নয়। এ বিষয় নিয়ে এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী পরিষদ শিগগিরই বৈঠকে বসবেন। তিনি আরও বলেন, পুলিশের এমন হয়রানী বন্ধ না হলে তারা হোটেল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন।
মহিপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. সোহেল আহম্মেদ জানান, কিছু আবাসিক হোটেলের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাবের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আবাসিক হোটেলগুলো গেস্ট রেজিস্ট্রারের ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম মানছেন না। মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে বিশেষ নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশের তরফ থেকে এজন্য একটি গেস্ট রেজিস্ট্রার ফরম দেয়া হয়েছে। পুলিশ কাউকে হয়রানী করছেনা। পুলিশের কারও বিরুদ্ধে যদি পর্যটকদের হয়রানী করার সুনিদৃষ্ট কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।