পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অতীতে যেভাবে স্বৈরাচারকে পরাজিত করা হয়েছে, পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে একইভাবে স্বৈরাচার, হানাদার, দখলদার বাহিনী আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের মাধ্যমে সরিয়ে দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং দেশনেত্রীকে মুক্ত করা হবে।
গতকাল (বুধবার) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরে আজকে আমাদের অর্জন কি? রাজনৈতিক যে মুক্তি চেয়েছিলাম তা পাইনি। আজকে স্বৈরাচারী, অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী শক্তির অধীনে মানুষ নির্যাতিত, নিপীড়িত হচ্ছে। তারা (আওয়ামী লীগ) তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান থেকে বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন আর নির্বাচনে কেউ আগ্রহী নয়, ভোটাররাও ভোট দিতে যান না। কেউ গেলে বলে আপনার ভোট দেয়া হয়ে গেছে অথবা ভোট দেয়া লাগবে না। এজন্য ৫ ভাগের বেশি ভোট পড়ে না।
তিনি বলেন, আজকে লেখার স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা, সংগঠন করার স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। দারিদ্র সীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। আয়ের বৈষম্য বেড়েছে আকাশচুম্বি। অর্থনৈতিক যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে সেটা অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন ভেঙে খান খান করেছে। বিচার বিভাগে মানুষ ন্যায়বিচার পায় না। উপর থেকে নির্দেশ আসে। খালেদা জিয়ার রায়ে প্রমাণ হয়েছে বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়। ৪৮ বছর পরও আমাদের বলতে হচ্ছে আমরা স্বাধীন নই। স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। যারা গণতন্ত্রে, মানুষের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, শুধুমাত্র তাদের উন্নয়নে তারা বিশ্বাস করে।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান অতিথি ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, মিজানুর রহমান মিনু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার,
যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক খান, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।