বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২ জানুয়ারি হাতিয়া সফর করবেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত সূ-সজ্জিত আবাসস্থলসহ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। দুপুর ১টায় হাতিয়া দ্বীপ সরকারী কলেজ ময়দানে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে হাতিয়াবাসীর মধ্যে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাদরে বরণ করতে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
১৯৮৯ সালে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা হাতিয়ায় সাংগঠনিক সফর করেন। সফরকালে তিনি ওছখালী সরকারী দ্বীপ কলেজ মাঠে জনসভায় বক্তব্য রাখেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দুইবার হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ও নলচিরায় ঝটিকা সফরে এসে দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
মেঘনা বেষ্টত হাতিয়া উপজেলার মূল ভূখন্ড ভাঙ্গনের শিকার প্রায় ৭০ হাজার পরিবার। এরমধ্যে প্রায় অর্ধেক বিভিন্ন চরাঞ্চলে বসতি গড়ে তুলেছে। অবশিষ্টরা দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। নদী ভাঙ্গনের পাশাপাশি এখানে বিদ্যুৎ সংকট প্রকট। উপজেলার সদরের নিদ্দিষ্ট কিছু এলাকা ব্যতীত পূরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই। তাই নোয়াখালী জেলার মূলভূখন্ড থেকে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় হাতিয়াবাসী।
জানতে চাইলে তিনবারের সাবেক এমপি ও হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ইনকিলাবকে জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাদরে বরণ করতে হাতিয়াবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। হাতিয়ার ইতিহাসে বিশাল জনসভায় মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করবেন। হাতিয়াবাসীর দাবী দাওয়া সম্পর্কে তিনি জানান, দেশের অপার সম্ভাবনাময় হাতিয়ার উন্নয়নে কি কি প্রয়োজন, সেটা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাল জানেন। হাতিয়া আসনের এমপি আয়েশা ফেরদৌস জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভাগমন হাতিয়াবাসীর জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীকে হাতিয়ার ইতিহাসে বিশাল সম্বর্ধনা প্রদান করা হবে। বর্তমান সরকারের আমলে হাতিয়ায় বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। এছাড়া দ্বীপ উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী অবহিত আছেন।
প্রধানমন্ত্রীর হাতিয়া সফর উপলক্ষে উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক ফজলুল হক খোকন বলেন, হাতিয়া নদীভাঙ্গন রোধ, সাবমেরিন কেবলের মাধ্যম বিদ্যুৎ সরবরাহ, হাতিয়া-চট্রগ্রাম রুটে আধুনিক স্টীমার সার্ভিস চালু, চেয়ারম্যান-নলচিরা-নিঝুমদ্বীপ রুটে ওয়াটার বাস চালু এবং হতিয়া মূল ভূখন্ডে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবি জানাচ্ছি। হাতিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার দিদার উল আলম খান (টুনু) ইনকিলাবকে জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার হাতিয়া আগমন দ্বীপবাসীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার মাধ্যমেই সম্পন্ন হবে। হাতিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ারুল আজিম রাজু বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতিয়া সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাতিয়ার নদীভাঙ্গনরোধ, বিদ্যুৎ সরবরাহ, চট্রগ্রাম-হাতিয়া রুটে আধুনিক স্টীমার সার্ভিস চালুসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আমি প্রধানমন্ত্রীর সূ-দৃষ্টি কামনা করছি। হাতিয়া দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল আলম জানান, অনুন্নত ও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সাধুবাদ জানাই। দেশের অপরা সম্ভাবনাময় এতদ্বঞ্চলের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। এতে করে শুধু হাতিয়াবাসী নয়-বরং পূরো দেশ উপকৃত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।