পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তীব্র অসুস্থতায় কাতরালেও ডাক্তার আসেন না তাকে দেখতে আসেন না বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে ডাক্তার ঠিকমত ওষুধ দিচ্ছেন না। ব্যথার করণে তিনি রাত্রে ঘুমাতে পারেনা। তিনি বর্তমানে ভয়াবহ জীবন মৃত্যুর সংকটের মধ্যে রয়েছেন। তিনি হাঁটাচলা করতে পারেন না। খেতে পারছেন না। হাত ও পায়ের ছোট ছোট জয়েন্টগুলোসহ শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট ফুলে গেছে এবং এতে তীব্র ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। জয়েন্টগুলো শক্ত ও বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসার অভাবে হাইলি অ্যাক্টিভ ডিফরমিং, রেমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনসহ বেশ কয়েকটি রোগ চরম আকারে পৌঁছেছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি দেশনেত্রীকে কারাগারে রেখে বিনা চিকিৎসায় তিলে তিলে নিঃশেষ করাটাই এই সরকারের অভিপ্রায়। বাস্তবে তাই হতে চলেছে এখন।দীর্ঘ এক মাসের বেশী সময় পর কারারুদ্ধ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর স্বজনদের দেখা করতে দেয়া হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে আদালতে পেশ করা মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টের সঙ্গে তার শারীরিক অবস্থার বাস্তবে কোনো মিল পাননি তার বোনসহ পরিবারের সদস্যরা।
রিজভী বলেন, ফাস্টিংয়ে বেগম জিয়ার সুগার থাকছে-১৪। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাঃ শামীম এবং ডাঃ মামুনকে দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য পরিক্ষায় যেতে দেয়া হচ্ছেনা। বাস্তবে দেশনেত্রীর কোন চিকিৎসায়ই হচ্ছে না এবং ঔষধও দেয়া হচ্ছে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আদালতে সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টের নামে পেশ করা হলো গণভবনের ফরমায়েশী এক চোখা রিপোর্ট। প্রথমে সঠিক রিপোর্ট তৈরী হলেও সরকার প্রধানের নির্দেশে বদলে ফেলা হয় সেই রিপোর্ট। প্রচন্ড অসুস্থতায় জীবনের হুমকির মুখে থাকা মানুষকে কিভাবে সুস্থ বলে চিকিৎসকরা রিপোর্ট দিতে পারে? চিকিৎসকরা হুকুমের অনুগত হবেন এই দৃষ্টান্ত পৃথিবীর কোথাও নেই। যেখানে চিকিৎসকদেরও সরকারের কথা শুনে রোগীর শারিরীক পরীক্ষার রিপোর্ট দিতে হয়। এটি শেখ হাসিনার চরম কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনের একটি নমুনা।
রিজভী বলেন, ফ্যাসিবাদের উপাসক আওয়ামী লীগ। শিক্ষা, অভিরুচি, কৃষ্টি ও সৌজন্য-সংস্কৃতির বিশাল ঘাটতি রয়েছে এই দলের। এ কারণে তারা গণতন্ত্রকে ঘৃণা করে। রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ সভ্যতার মাপকাঠি। সভ্যতার অহংকার মানব জাতির অলংকার। আওয়ামী ক্ষমতাসীনরা অন্ধকারের আদিম অরণ্যচারি বলেই এরা মানুষকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ পায়।
বিএনপির এই মুখপাত্র ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা রাজনীতির ভিত্তিভূমি নির্মান করেছেন প্রতিহিংসা দিয়ে। আর সেই প্রতিহিংসায় বর্তমানে বাংলাদেশে মহাসংকটকাল উপস্থিত। বৈষম্য, দুঃশাসন ও শোষনে সারা দেশকেই আপনারা অসুস্থ বানিয়েছেন। ক্ষুদ্র গন্ডিতে বাঁধা আপনাদের রাজনীতি। এ কারনেই সারা দেশকে করেছেন সন্ত্রাসপীড়িত। দেশনেত্রীর জীবন নিয়ে ছিনি-মিনি বন্ধ করুন। তাঁকে দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।