Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

বালিয়া-চৌহাট ইকবাল আমীর সেতু

মো. আনিস উর রহমান স্বপন, ধামরাই (ঢাকা) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ঢাকার ধামরাই ও টাংগাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার মধ্যবর্তী ধামরাইয়ে বালিয়া-চৌহাট এলাকায় বংশী নদীর উপর প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মিত সেতুর বর্তমানে কোন কদর নেই। এ সেতুর একপাশের রেলিং ভেঙে ঝুলে পড়লেও তা মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছে না সরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে। ফলে এ সেতুদিয়ে চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়েছে পড়েছে। যেকোন সময় ঘটতে পারে দুঘটনা।
বর্তমানে ধামরাইয়ের কালামপুর থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়ক হওয়ায় ২০১৭ সালের দিকে এ সেতু থেকে প্রায় ৫ শ’ গজ দূরত্বে এ নদীতে চৌহাটের ধুলট এলাকায় সরকারিভাবে আরো একটি সেতু নির্মাণ হওয়ায় এ সেতুর গুরুত্ব অনেকাংশে কমে গেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে আবার অনেকে বলছেন এ সেতুর গুরুত্বও রয়েছে।
স্বাধীনতার পর থেকে এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা একে পর এক প্রতিশ্রæতি দিলেও ২০১৭ সালের আগে ঢাকার ধামরাই ও টাংগাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার মধ্যবর্তীস্থান ধামরাইয়ের বালিয়া-চৌহাট বংশী নদীর উপর সরকারিভাবে কোন সেতু নির্মাণ হয়নি।
যার ফলে এলাকার মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবে ২০১০ সালের দিকে বংশী নদীতে ধামরাই উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য খান মুহাম্মদ ইস্রাফিল খোকনের সহোদর দুই ভাই সোনালী গ্রæপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি খান মুহাম্মদ ইকবাল ও পদ্মা গ্রæপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি খান মুহাম্মদ আমীর যৌথভাবে ইকবাল-আমীর নামে নামকরণ করে সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে এ সেতু নির্মানসহ মির্জাপুর উপজেলায় যাতায়াতের জন্য আরো দুইটি সেতু নির্মাণ করেন। ওই সময় ধামরাই ও মির্জাপুর উপজেলা এলাকায় যাতায়াতের এক নতুন দিগন্তের সুচনা হয়।
এ সেতুর নির্মাণকারী দুই ভাইয়ের মধ্যে সোনালী গ্রæপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি খান মুহাম্মদ ইকবাল ইন্তেকাল করেছেন। সেতু নির্মাণ কালে তিনি বলেছিলেন এ সেতু হবে আধুনিক ও দর্শনীয়। এ সেতুতে সেতুর নকশায় একটি মসজিদ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে এ বিষয়ে উদ্যোগতা পরিবারে আর আগ্রহ দেখা যায়নি।
ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মিত এ সেতু সম্পর্কে জাতীয় পার্টির নেতা কাওয়ালীপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম খলিল বলেন, সরকারিভাবে এ নদীতে যখন কোন সেতু নির্মাণ হয়নি তখন সকল মানুষ ও যানবাহনসহ এ সেতু দিয়েই যাতায়াত করতো। তাই এ সেতুর প্রতি সরকারের দৃষ্টি দেয়া খুব জরুরি।
এ ব্যাপারে থামরাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন বলেন, এলাকার জনগনের যাতায়াতের সুবিধার কথা চিন্তা করে ব্যক্তি উদ্যোগে এ সেতুটি নির্মাণ করেছিলেন ইকবাল-আমির দুই ভাই। বর্তমানে সেতুটির রেলিংটি ভেঙে পড়েছে। জনস্বার্থে সেতুটি আমাদের মেরামত করা উচিৎ।
এ ঝুকিপূর্ণ সেতু সম্পর্কে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক বলেন, সেতুটি যে রাস্তায় মাথায় নির্মিত সে রাস্তাটি এলজিইডির গেজেটভুক্ত নয়, বিধায় বর্তমানে আমরা কিছু করতে পারছি না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ