পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত রাজাকারদের তালিকায় ৭১-এ যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর নাম রয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের যে তালিকা প্রকাশ করা হয় তাতে রাজশাহী বিভাগের ৮৯ নম্বর তালিকায় (ক্রমিক নম্বর ৬০৬) নাম রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলি গোলাম আরিফ টিপুসহ পাঁচজনের নাম। তালিকায় নাম দেখে গোলাম আরিফ টিপু বলেন, বিস্মিত, হতবাক হয়েছি। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় এটা কিভাবে করলো?
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টিপুসহ এই পাঁচজন এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ। আবার তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাডভোকেট মহসিন আলীর নামও রয়েছে তালিকায়। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামের নামও রয়েছে তালিকায়। তার পরিবারের পাঁচজন সদস্য মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহত হন। ওই সময় আব্দুস সালাম পাকিস্তানি হানাদারদের ভয়ে ভারত পালিয়েছিলেন।
রাজশাহী বিভাগে স্বাধীনতাবিরোধীদের এক থেকে ১৫৪টি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এসব তালিকায় কয়েকশ’ ব্যক্তির নাম রয়েছে। যাদের কয়েকজনের নাম দ্বিতীয়বারও রয়েছে।
রাজাকারের তালিকায় নাম আসার বিষয়ে গোলাম আরিফ টিপু বলেন, আমি এটা দেখে বিস্মিত হয়েছি। এটা কি করে সম্ভব? আমি জীবনে কখনো ওদের লাইনে যাইনি। রাজাকারের তালিকায় নাম আসবে এটা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আমি এটার শক্ত প্রতিবাদ করব। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম যথাযথভাবে হচ্ছে না। তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তালিকায় আসা নামটি তাকে মিন করেই দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দেশের নাগরিক হিসেবে আমি লজ্জিত। মন্ত্রণালয় তাচ্ছিলের সঙ্গে এই কাজটি করেছে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলনে আমার ভূমিকা ছিল।
জানতে চাইলে রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ওয়ালিউর রহমান বাবু বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন তাদের নামও যদি তালিকায় থাকে, সেটিও হবে চরম লজ্জাজনক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।