পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নিয়মিত পাচ্ছেন বরিশালের অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্ত্তী। সরকারি গেজেটে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তার নাম রয়েছে। তার মেয়ে বাসদ নেত্রী ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী এবার বরিশাল সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনের দিন তিনি প্রকাশে ‘নৌকার ব্যালটে সিল মারা’ নিয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন। দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় সে খবর ফলাও করে প্রচার হয়। তারই বাবা মুক্তিযোদ্ধা তপন কুমারের নাম সদ্য ঘোষিত রাজাকার তালিকায় ৬৩ নম্বরে। ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তীর দাদা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ অ্যাডভোকেট সুধির কুমার চক্রবর্ত্তীর স্ত্রী উষা রানী চক্রবর্ত্তীর নাম রয়েছে রাজাকার তালিকায় এখন ৪৫ নম্বরে।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য বাসদ নেত্রী ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী মুক্তিযোদ্ধা বাবার নাম রাজাকারের তালিকায় থাকায় দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ কথা জানিয়েছেন। ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তীর ফেসবুক স্ট্যাটাস ইনকিলাব পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী লিখেছেন ‘মানুষের জন্য নিঃস্বার্থ কাজ করার পুরস্কার পেলাম আজ। ধন্যবাদ আওয়ামী লীগকে। সদ্য প্রকাশিত রাজাকারদের গেজেটে আমার বাবা এবং ঠাকুমার নাম প্রকাশিত হয়েছে। আমার বাবা অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্ত্তী একজন গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা। ক্রমিক নম্বর ১১২, পৃষ্ঠা ৪১১৩। তিনি নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেয়ে থাকেন! আজ রাজাকারের তালিকায় তিনি ৬৩ নম্বর রাজাকার।
আমার ঠাকুরদা অ্যাডভোকেট সুধির কুমার চক্রবর্ত্তীকে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তিনিও ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত। তার সহধর্মিণী আমার ঠাকুমা উষা রানী চক্রবর্ত্তীকে রাজাকারের তালিকায় ৪৫ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য আমার রাজনীতি (বাসদ) করার খেসারত দিতে হচ্ছে আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে। ধন্যবাদ আওয়ামী লীগ সরকারকে।
আমার দল বাসদ আমাকে শিখিয়েছে অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করাকে। মিছিল থেকে গ্রেফতার করে থানায় নির্যাতন করে ওরা বলেছিল যে, আন্দোলন যেন না করি, নির্বাচনে যেন অংশ না নিই। রাজি না হওয়ায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে অজামিনযোগ্য মামলা দিয়ে জেলে প্রেরণ করেছে। আমরা জেল খেটেছি, নির্যাতন সহ্য করেছি কিন্তু অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি।
ভয় দেখিয়ে বা বিপদে ফেলে আমাদের কিছু করা যাবে না। অভুক্ত, অর্ধভুক্ত গরিব খেটে খাওয়া মানুষ আছে আমাদের দলের সাথে। আছে অনেক শুভাকাক্সক্ষী। অতীতের মতো আজ এবং আগামীতে আপনাদের পাশে পাব সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।