শীতকালীন শাকসবজিতে ভরপুর গৌরীপুরের হাট-বাজার। দামও হাতের নাগালে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কাঁচাবাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে, বাজারে ১টি ভালো মানের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। একই রকম মূল্যে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি। অন্য বছরের এ সময় বাজারে আসা নতুন আলুর দাম ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হলেও এ বছর ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। দাম কম থাকায় ক্রেতারাও খুশি। পৌরশহরের বাজারে কথা হয় জয়নাল ফারুক নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহ থেকে বাজারে শীতকালীন সব ধরনের শাকসবজি বেশি পাওয়া যাচ্ছে। গত বছরের এ সময়ের তুলনায় এ বছর দাম কমই মনে হচ্ছে। তাই বেশি করে শীতের শবজি কিনলাম।’ তিনি জানিয়েছেন, এই বাজারে আজ শিম ৪০ টাকা ও বরবটি ৫০ টাকা দরে কিনেছেন।
পালং শাক কিনেছেন আঁটি ১০ টাকা দরে। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কমেছে বলে জানালেন একই বাজারের শবজি বিক্রেতা মমিনুল।
তিনি জানান, সবজির দাম আরও কমবে। সুলভ মূল্যে সাধারণ মানুষ শীতকালীন শবজি খেতে পারবেন। ডৌহাখলা ইউনিয়নের ডৌহাখলা কাঁচাবাজারের বিক্রেতা জামান বলেন, ‘এ সপ্তাহে দাম বেশি নয়, সবজির বাজার ভালো বলতে হবে। দাম এর চেয়ে কমে গেলে কৃষক ও খুচরা ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।’ তিনি জানিয়েছেন, সবজির দাম বাড়ে-কমে উৎপাদন ও সরবরাহের কারণে। চলতি বছর এই ইউনিয়নে সবজি আগেভাগে ফলন হওয়ায় বাজারে আসতে শুরু করেছে। যে কারণে দাম অনেকটা কমে গেছে। গত মাসে উপজেলার বাজারগুলোয় কাঁচা মরিচের দাম ছিল প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এ সপ্তাহে বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় মিলছে ভালো মানের কাঁচা মরিচ।এ ছাড়া শসা ৩০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে এসেছে দেশি টমেটো। বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে। আর আমদানি করা ভারতীয় টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। তবে দেশি টমেটোর চাহিদা বেশি বলে জানান দোকানিরা।