রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুড়িগ্রামের উলিপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ। হামলায় ওই পরিবারের চারজন সদস্য গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত একজনের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত রোববার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন বাদী হয়ে উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের আপুয়ারখাতা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেনের সাথে প্রতিবেশি মোকছেদুল হক গং এর দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন গত ১২ ডিসেম্বর প্রতিপক্ষ ওই মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তায় বাঁধা সৃষ্টি করলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এরই এক পর্যায়ে মোকছেদুল হকসহ তার পক্ষীয় আকবর আলী (৪৫), আনাম মিয়া (২৩), রাকিব (২৫)সহ অজ্ঞাত নামা পুরুষ-মহিলা একত্রিত হয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় বাড়িতে থাকা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রেজাউল করিম (২৭), বড় ভাই লিয়াকত আলী (৪৫), স্ত্রী সাজেদা বেগম (৩৫) ও তার পুত্র শামীম (২২) বাধা দিতে গেলে তাদের মারপিট করে। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের হাতে থাকা কুড়াল ও ছোড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের ওই চার জনের মাথায় ও হাতে এলোপাথারী কোপ মেরে গুরুত্বর জখম করে। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এ ঘটনায় ওই মুক্তিযোদ্ধা বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন গত ১৩ ডিসেম্বর উলিপুর থানায় ৭ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত থানা পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করেনি। আসামিদের গেফতারে থানা পুলিশের কোন তৎপরতা না থাকায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফকরুল ইসলাম জানান, আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে মাথায় গুরুত্বর আঘাতপ্রাপ্ত শামীমকে গত রোববার উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
উলিপুর থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।