Inqilab Logo

সোমবার ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চলনবিলও হতে পারে পর্যটন কেন্দ্র

সৈয়দ শামীম শিরাজী, সিরাজগঞ্জ থেকে | প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

দক্ষিণ এশিয়া ও দেশের বৃহত্তম বিল চলনবিলকে ঘিরে বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্তে¡ও সরকারি বেসরকারিভাব বিনিয়োগের উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনার অভাবে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠছে না। দেশ বিদেশে পরিচিত এই বিলকে পর্যটকদের জন্য মোটেল সুবিধাসহ কয়েকটি দর্শনীয় স্পটকে অবকাঠামো উন্নয়ন করলেই এটি দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকায় পরিনত হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার প্রায় ১২ হাজার বর্গমাইল আয়তনের বিল এখন অনেক ছোট হয়ে এসেছে। এখানে পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো প্রাকৃতিক দৃশ্য ও বহু প্রত্মতাত্বিক ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। তাড়াশ উপজেলার বিনসাড়ায় বেহুলা সুন্দরির জিয়নকুপ ও পিতার বাছিয়া বানিয়া সওদাগারের বাড়ি, উপজেলা সদরে রায় বাহাদুরের স্মৃতি বিজরিত বাড়ি, নওগায়ে তাপস শ্রেষ্ঠ ওলিয়ে কামেল শাহ শরীফ জিন্দানী (রহ.)-এর মাজার শরীফ, চাটমোহরের শীতলাইয়ের জমিদার বাড়ি, সদরে শাহী মসজিদ, গুরদাসপুর উপজেলার চলনবিল জাদুঘর, সিংড়ার প্রেট্রোবাংলা, তিসিখালী মাজারসহ রযেছে অনেক দর্শনীয় স্থান। বর্ষায় প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের জন্য হাজার পিকনিক পার্টি ও দূরদুরান্ত থেকে ভ্রমন পিপাসুরা আসলেও শুস্ক মৌসুমে তেমন আসেন না। চলনবিলের বুক চিরে গড়ে উঠে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের গুমানী নদীর ওপর নির্মিত সেতুতে হাজার হাজার দর্শনার্থীরা আসেন। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে হোটেল কিংবা মোটেল, বিনোদন পার্ক এবং মৎস্য অভয়াশ্রমগুলোতে পানি থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে গড়ে ওঠবে আকর্ষণীয় পর্যটন শিল্প।
চলনবিলের নাদোসৈয়দপুর গ্রামের কলেজ শিক্ষক আতিকুল ইসলাম বলেন, চলনবিলে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণারত শিক্ষক গবেষকদের আসতে দেখলেও এর পরিবেশ ও এতিহ্য রক্ষার জন্য কাউকে আসতে দেখলাম না। তিনি আক্ষেপের সাথে জানান, সরকার ইচ্ছা করলেই এটিকে পর্যটন উপযোগী করে দেশের এতিহ্যবাহী সম্পদকে রক্ষা করতে পারে।
চলনবিল বাঁচাও আন্দোলন নামে একটি সামাজিক সংগঠনের সভাপতি ও তাড়াশ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আব্দুল জলিল জানান, আমরা চলনবিলকে রক্ষার জন্য এবং ভেতর প্রবাহমান ১০-১২টি নদনদী সমুহের সংস্কার ও গতিপথ বন্ধ করে অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদ, পর্যটন কর্পোরেশনের আওতায় এনে পর্যটকদের প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদান, চলনবিল জেলা ঘোষনাসহ ১০দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপিসহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করে আসছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ